শারদ-সাজে ঘরকে সাজিয়ে তুলতে অনেকেই পুজোর সময়ে বাড়ি রং করেন। কিন্তু জানেন কি, দেওয়ালের রঙের উপর নির্ভর করে বাড়ির সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি? ভুল রং কিন্তু উল্টে সমস্যা ডেকে আনতে পারে। বিভিন্ন ঘরের রং বাছাইয়ের আগে বরং জেনে নেওয়া যাক, এ ব্যাপারে বাস্তুশাস্ত্র কী বলছে।
সাধারণত বেশির ভাগ বাড়িতেই ঘরের দেওয়ালে সবুজ, হলুদ, নীল, গোলাপি, লাল, কমলার মতো রং করা হয়। অনেক সময়ে কালো রংও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র বলে, বাড়ির দেওয়ালে কালো রং না করাই শ্রেয়। তা অনেক সময়ে অভিশাপ, কুনজর, বা ষড়যন্ত্রকে আকর্ষণ করে।
ঘরের দেওয়ালে লাল রংয়ের ব্যবহার অনেক সময়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। কিন্তু যাঁদের মনোভাব অতিরিক্ত আগ্রাসী, লাল রং তাঁদের সেই আচরণ আরও তীব্র করে তুলতে পারে।
গোটা বাড়িতে সাদা রং সবার জন্য শুভ নয়। বিশেষত যাঁরা উদাসীন, শোওয়ার ঘরে সাদা রং তাঁদের উদাসীনতাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
উৎসাহ এবং ভরপুর জীবনীশক্তির রং কমলা। কিন্তু যাঁরা অতিরিক্ত চঞ্চল বা অস্থিরমতি, তাঁদের জন্য কমলা রং শুভ নয়।
শোওয়ার ঘরে হলুদ রঙের প্রয়োগ আপাতদৃষ্টিতে ভাল। কিন্তু যাঁরা অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ, তাঁদের জন্য চারটি দেওয়ালেই গাঢ় হলুদ রং শুভ নয়।
সবুজ রং সংকল্পে দৃঢ়তা আনে। তবে অতিরিক্ত সবুজ রং কিন্তু একগুঁয়েমি নিয়ে আসতে পারে।
যাঁরা নিজেদের অন্যের তুলনায় উচ্চতর শ্রেণির মনে করেন, তাঁরা কিন্তু ভুল করেও শোওয়ার ঘরে বেগুনি (পার্পল) রং ব্যবহার করবেন না।
জীবনে ভারসাম্য আনতে বা সম্মান বৃদ্ধিতে ছাই(গ্রে) রঙের প্রয়োগ করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ছাই রঙের ব্যবহার কোমল মানসিকতার মানুষদের অতিরিক্ত কোমল করে তুলতে পারে। এমনকি আপনি প্রতারণার শিকারও হতে পারেন।
বাড়িতে নীল রঙের প্রয়োগ ভাল। তবে মাথায় রাখুন অতিরিক্ত নীল রং আপনাকে মানসিক ভাবে নিস্তেজ করে তোলে। বন্ধুর সঙ্গেও সমস্যা তৈরি করে দিতে পারে।
গোলাপি খুব শান্ত মার্জিত রং। কিন্তু যে বাড়িতে ২৫ বছরের কমবয়সি তরুণ-তরুণীরা রয়েছেন এবং তাঁরা যদি অতিরিক্ত প্রগলভ হয়ে থাকেন, তবে বিশেষত শোওয়ার ঘরে গোলাপি রং না করাই ভাল।
আরাম-বিনোদনের সহায়ক বাদামি রং। কিন্তু অসাবধানী প্রকৃতির মানুষেরা ভুলেও এই রং অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না।
ঘরে রং করাচ্ছেন। বাস্তুর এই মতগুলো মাথায় রাখলে ক্ষতি কী?
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।