AIIMS Bhubaneswar

‘ডাক্তার হও, কিন্তু ভিন্‌রাজ্যে যেয়ো না!’ ভাইকে অডিয়োবার্তা পাঠিয়ে এমস ভুবনেশ্বরে আত্মঘাতী ছাত্র

মৃত ছাত্রের নাম রত্নেশকুমার মিশ্র (২১)। অসমের ডিব্রুগড়ের বাসিন্দা রত্নেশ এমস ভুবনেশ্বরের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার হস্টেলের ঘর থেকে ওই পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:১০
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

এমস ভুবনেশ্বরে হস্টেলের ঘর থেকে মিলল দ্বিতীয় বর্ষের এমবিবিএস পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। সঙ্গে মিলল ভাইয়ের জন্য রেখে যাওয়া শেষ অডিয়োবার্তা, ‘‘ডাক্তার হও, কিন্তু কোনও দিন নিজের রাজ্য ছেড়ে ভিন্‌রাজ্যে যেয়ো না!’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম রত্নেশকুমার মিশ্র (২১)। অসমের ডিব্রুগড়ের বাসিন্দা রত্নেশ এমস ভুবনেশ্বরের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার হস্টেলের বি ব্লকের ৫০২ নং ঘর থেকে ওই পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বুধবার ওই ছাত্রের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা ছিল। সে জন্য মঙ্গলবারই বাবার সঙ্গে অসম থেকে ভুবনেশ্বরে ফিরেছিলেন রত্নেশ। বাবা কলেজের অদূরেই একটি হোটেলে এসে উঠেছিলেন। বুধবার পরীক্ষার পর ছেলেকে নিয়ে পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শনে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু দুপুর হয়ে গেলেও ফোন তোলেননি ছাত্র। এর পরেই তড়িঘড়ি ছেলের হস্টেলে পৌঁছন বাবা। দীর্ঘ ক্ষণ ডাকাডাকির পর কয়েক জন আবাসিক ছাত্রের সহায়তায় দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় ছাত্রের দেহ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দারিদ্রের কারণে ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগাতে সম্প্রতি রত্নেশের বাবা তাঁদের জমিটি বেচে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর পর থেকেই অবসাদে ভুগতে শুরু করেন ওই পড়ুয়া। ভিন্‌রাজ্যে মাসের পর মাস পরিজনদের থেকে দূরে থাকার কারণে মানসিক ভাবে আরও ভেঙে পড়ছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে অসমে ভাইকে একটি অডিয়োবার্তা পাঠান রত্নেশ। তাতেই বার বার বাবাকে জমি না বিক্রি করতে অনুরোধ জানিয়েছেন ওই ছাত্র। রত্নেশের ভাইও বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। সেই ভাইকে বলে গিয়েছেন, ভবিষ্যতে ভিন্‌রাজ্যে না গিয়ে অসমে পরিজনদের কাছাকাছি থেকেই ডাক্তারি পড়তে। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ছাত্রের আত্মহত্যার নেপথ্যে আরও কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement