প্রতীকী ছবি
নেটপাড়ার অন্যতম পরিচিত মুখ প্রিয়ম ঘোষ। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে হরদমই দেখা যায় একেবারে মাঠে নেমে সরাসরি সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্ব। দুর্গা পুজো নিয়ে কী কী প্ল্যান রয়েছে প্রিয়মের? আনন্দ উৎসবের কাছে পুজোর সব খবরাখবরের ঝুলিই খুলল।
প্রিয়মের সব বন্ধুই এখন কর্মসূত্রে বা পড়াশোনার জন্য শহর বা দেশের বাইরে। তাই পুজো দোরগোড়ায় এলেও এখনও পর্যন্ত কোন প্ল্যানই করে ওঠা হয়নি। করা হয়নি কেনাকাটাও। যদিও শেষ মুহূর্তে বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে পুজোর নতুন জামা কিনতে বেরোতেও দারুণ লাগে তাঁর! কথায় কথায় বেরিয়ে এল এক মজার গল্প। এক বার পুজোয় অনলাইনে অর্ডার দিয়েছিলেন ফোন, সপ্তমীতে সেই ফোনের ডেলিভারি বাক্সেই এল ডিটারজেন্ট পাউডার! তার পর থেকে নিজে দোকানে গিয়ে চোখে দেখে কেনাকাটাতেই বিশ্বাসী প্রিয়ম।
দর্জি পাড়া মিত্র বাড়ির পুজোতেই কেটেছে প্রিয়মের ২ বছর বয়স থেকে প্রায় ২০ বছর পর্যন্ত। দু’মাস আগে থেকেই চলে যাওয়া হত সেখানে। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এই বনেদি বাড়ির পুজোর ঐতিহ্য, আভিজাত্য ও জাঁকজমক আজও অটুট। ঠাকুর দালানে প্রতিমার কাঠামো তৈরি থেকে মায়ের সাজগোজ, চক্ষুদান- সবটাই ভাইবোনেরা মিলে করতেন পারিবারিক মৃৎশিল্পীকে সঙ্গে নিয়ে। গত কয়েক বছর করোনার কারনে বাড়ির পুজোয় যাওয়া হয় ওঠেনি প্রিয়মের। তবে, এ বছর আবার ফিরতে চান সেই চেনা আমেজে।
ছবি- ফেসবুক
দশমীর দিন বাড়ির সকল পুরুষেরা ধুতি পাঞ্জাবির সাজে কাঁধে করে উমাকে নিয়ে যান বিসর্জনে। পরিবারের মহিলারা লাল পাড় সাদা শাড়িতে মাতেন সিঁদুর খেলায়। এই স্মৃতি এখনও প্রিয়মের কাছে সবথেকে প্রিয়, সবচেয়ে টাটকা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ততা বাড়লেও ছোটবেলার পুজোই এখনও সব চেয়ে কাছের প্রিয়মের কাছে।
ছেলেবেলার পুজোয় প্রেম আসত বটে, তবে বাড়ির বড়দের ভয়ে দেখা করে ওঠা হত না সেই বিশেষ মানুষটির সঙ্গে। বড় হয়ে অবশ্য সবটা পাল্টে গিয়েছে। “গত দু’তিন বছর ধরে পুজো একলাই কাটছে। এ বারেও তাই হবে,” অকপট প্রিয়ম। তবে হাসতে হাসতেই সংযোজন- এটাই ভাল, কারণ খরচা কম! বড়জোর প্যান্ডেলে গিয়ে কাউকে ভাল লাগল, ব্যস! তার বেশি আর এগোতে চান না প্রিয়ম নিজেই।
দেবী দুর্গার কাছে তিনটে বর হিসেবে প্রিয়মের প্রথম চাওয়া, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য যা যা লক্ষ্য রেখেছেন, সেগুলি সব যেন পূরণ করতে পারেন। একই সঙ্গে মায়ের কাছে আবদার, খুব তাড়াতাড়ি যেন একটা গাড়ি কিনতে পারেন। পাশাপাশি, নিজের দক্ষতাগুলি যেন আরও উন্নত করতে পারেন, সেই প্রার্থনাও জানিয়েছেন মা দুর্গার কাছে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের অংশ