তিনি ছিলেন মাড় বংশের পুত্রবধূ। দয়ালু স্বভাবের জন্য হয়ে উঠেছিলেন লোকমাতা। তিনি আর কেউ নন, রানি রাসমণী। তবে ইদানীং রানি রাসমণি মানেই আমাদের কাছে অন্য এক ছবি উঠে আসে। সে ছবি ছোট পর্দার রাসমণি দিতিপ্রিয়া রায়ের। সেই মেয়েই অভিনয় করেছেন ‘আয় খুকু আয়’ বা ‘কলকাতা চলন্তিকা’র মতো ছবিতেও। চরম ব্যস্ততার ফাঁকে কথা হল পর্দার রাসমণির পুজোর প্ল্যান নিয়ে।
অভিনেত্রীর কাছে পুজো মানেই কলকাতা। আরও স্পষ্ট করে বললে পাড়ার পুজো। দিতিপ্রিয়াকে সাবেক পুজোই মজিয়ে রাখে এখনও। যৌথ পরিবারের মতো, একসঙ্গে সবাই মিলেমিশে পুজোয় মেতে উঠতে ভালবাসেন। থিমের পুজোর জাঁকজমক তাই খুব একটা টানে না তাঁকে।
অভিনেত্রীর কথায়, তাঁর কাছে পাড়ার পুজো বাড়ির পুজোর মতোই। পুজোর চার দিন নতুন জামা পরে সোজা প্যান্ডেলে। শুধু তা-ই নয়। এই ক’দিন বাড়ির হেঁশেলেও ছুটি। খাওয়াদাওয়া মানে পুজোর ভোগ আর প্রসাদ। দিতিপ্রিয়ার কথায়, “ঠাকুর আনা থেকে বিসর্জন অবধি দায়িত্ব থাকে আমার।”
সেই ছোটবেলা থেকেই দিতিপ্রিয়ার কাছে অষ্টমীর সকাল খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে অঞ্জলি। সাজেও ঘিরে থাকে মিলনের সুর। অষ্টমীর সকাল তাই তাঁর মনের খুব কাছের।
দিতিপ্রিয়ার পুজো মানে পরিবার ও পাড়ার সকলের সঙ্গে বসে জমিয়ে আড্ডা। রাত জেগে গিটার বাজিয়ে গান বাজনার আসর। আর পুজোর প্রেমের কথা বলতেই অভিনেত্রীর সাফ কথা- “আমার কাছে পুজোর প্রেম মানে আমার পরিবারের প্রতি এবং আমার বন্ধুবান্ধবদের প্রতি ভালবাসা।” তবে হ্যাঁ, বার্তা রয়েছে বিশেষ মানুষটির জন্যেও। পর্দার রাসমণি হাসতে হাসতেই বললেন, “আজ অবধি প্রেম আসেনি তো কী বলব? আর প্রেম এলেও তাকে এখানেই আড্ডা দিতে আসতে হবে। আর না এলে? যাও চলে যাও তবে।”
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।