সোশ্যাল মিডিয়া। এই প্রজন্মের কাছে এমনই একটি বিষয় যার উপস্থিতি ছাড়া জীবনটা কল্পনাও করতে পারে না তারা। নিজের মত প্রকাশ, বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ যেমন, তেমনই কৈশোর ও যৌবনে মানসিক বিকাশের উপরও গভীর প্রভাব ফেলছে সোশ্যাল মিডিয়া। সেই প্রভাব যেমন ইতিবাচক, তেমনই নেতিবাচকও। আর এই নেগেটিভ প্রভাব ফেলার তালিকায় সবচেয়ে উপরে রয়েছে ইনস্টাগ্রাম।
রয়্যাল সোসাইটি ফর পাবলিক হেলথ-এর সমীক্ষা বলছে, অল্পবয়সীদের মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে ইউটিউব। দ্বিতীয় স্থানে টুইটার ও তৃতীয় স্থানে ফেসবুক। সমীক্ষায় ১৪-২৪ বছর বয়সী ১,৪৭৯ জন অংশগ্রহণকারীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কোনও প্রভাব ফেলে কিনা।

প্রতিটা প্ল্যাটফর্মের বিষয়ই ১৪টি করে প্রশ্ন করা হয়েছিল। দেখা গিয়েছে স্ন্যাপচ্যাট ও ইনস্টাগ্রাম সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন ব্যবহারকারীরা। সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহার যে অল্পবয়সীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দৈন্যদশার কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে এই সমীক্ষার রিপোর্টে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোনও প্রজন্মকে প্রভাবিত করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষমতা অপরিসীম। তাই চাইলে সেই ক্ষমতার তারা সদ্ব্যবহার করতে পারে। দেশে মোট যত সংখ্যক মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকসেস করেন তার মধ্যে ৯০ শতাংশই অল্পবয়সী। ফলে খারাপ-ভাল যে কোনও প্রভাবের প্রতিই তারা অনেক বেশি স্পর্শকাতর। কী ভাবে এই প্ল্যাটফর্মগুলোকে আরও শিক্ষণীয় ও প্রয়োজনীয় করে তোলা যায় সেই বিষয় ভাবনা-চিন্তা শুরু করা উচিত সংস্থাগুলোর।
আরও পড়ুন: চাকরি খুঁজে দিতে এ বার সার্চ টুল আনছে গুগল
সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত উত্তেজক ছবি পোস্ট ও বিভিন্ন ভাবে বিদ্রুপের শিকার হচ্ছে তরুন প্রজন্ম। ইনস্টাগ্রাম মূলত ফোটো শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় এই সমস্যা অনেক বেশি গুরুতর হয়ে উঠছে। যে কারণে উত্কণ্ঠা, অবসাদ, অনিদ্রা এমনকী একাকীত্বের সমস্যাতেও ভুগছে তারা। অনেক ক্ষেত্রে যা তৈরি করছে আত্মহননের মতো ভয়াবহ প্রবণতাও।