Advertisement
১৫ জানুয়ারি ২০২৫
National News

ধর্ষণের চেষ্টা করতেই ভণ্ড সাধুবাবার যৌনাঙ্গ কেটে নিলেন তরুণী!

ধর্ষণের চেষ্টা করতেই এক ‘স্বঘোষিত বাবা’র যৌনাঙ্গ কেটে নিলেন আইনের এক ছাত্রী। ঘটনাটি কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের। অভিযুক্ত ওই ‘বাবা’র নাম স্বামী গঙ্গেশানন্দ ওরফে হরি স্বামী।

হাসপাতালে ভর্তি অভিযুক্ত ‘বাবা’ স্বামী গঙ্গেশানন্দ। ছবি: সংগৃহীত।

হাসপাতালে ভর্তি অভিযুক্ত ‘বাবা’ স্বামী গঙ্গেশানন্দ। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৭ ১৩:০১
Share: Save:

ধর্ষণের চেষ্টা করতেই এক ‘স্বঘোষিত বাবা’র যৌনাঙ্গ কেটে নিলেন আইনের এক ছাত্রী। ঘটনাটি কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের। অভিযুক্ত ওই ‘বাবা’র নাম স্বামী গঙ্গেশানন্দ ওরফে হরি স্বামী। তিনি কেরলের কোল্লামের পনমানা আশ্রমের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি।

ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত। তাঁকে সারিয়ে তুলতে স্বামী গঙ্গেশানন্দের শরণাপন্ন হন তাঁর মা। রোগ সারিয়ে তোলার নামে ওই ‘বাবা’ প্রায়ই তাঁদের বাড়িতে আসতেন। গত আট বছর ধরে তাঁকে বিভিন্ন সময় হরি স্বামী ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ তরুণীর। তাঁর যখন ১৬ বছর বয়স, তখনই প্রথম বার এই স্বঘোষিত গুরুর ধর্ষণের শিকার হতে হয় তাঁকে।

আরও পড়ুন:

ধর্ষকের শাস্তি যখন নিজেই দিয়েছেন ধর্ষিতা! এমন কিছু ঘটনা

কেন স্বামীজির লিঙ্গচ্ছেদের পরও আইন তরুণীর পাশেই?

ঘটনাটি তাঁর মা-ও নাকি জানতেন। কিন্তু ধর্মবাবা-র হুমকির কারণে কোনও দিন বাধা দেওয়ার সাহস পাননি। বাবার অসুস্থতা, মায়ের ভয়, এই সব কিছু মিলিয়ে এত দিন মুখ বুজেই সবটা সহ্য করে গেছেন বলে জানিয়েছেন এই ছাত্রী। তবে আর পেরে ওঠেননি। গত শুক্রবার আবার বাড়িতে আসেন তিনি। এবং যথারীতি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখনই হাতের কাছে থাকা ধারালো ছুরি নিয়ে স্বামী গঙ্গেশানন্দের যৌনাঙ্গ ছিন্ন করে দেন তরুণী। তার পর নিজেই ফোন করে ঘটনার কথা জানান পুলিশকে। পুলিশ এসে ‘স্বঘোষিত বাবা’কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।

হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, যৌনাঙ্গের ৯০ শতাংশ ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে অস্ত্রোপচার করে সেটাকে ঠিক করার মতো অবস্থা ছিল না। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনাটি জানা সত্ত্বেও কেন পুলিশে জানায়নি, সে কারণে ওই তরুণীর মাকেও জেরা করা হচ্ছে। তরুণীর অভিযোগ, অসহায়তার সুযোগ নিয়ে স্বামী গঙ্গেশানন্দ তাঁর মাকেও একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন।

কেরলের যে আশ্রম থেকে ওই বাবা এসেছিলেন, সেটি কোল্লামের একটি নাম করা আশ্রম। আশ্রমের এক জন শিষ্য এমন একটা ঘৃণ্য অপরাধ করেছে, বিষয়টি জানার পর আশ্রম কর্তৃপক্ষের দাবি, গত ১৫ বছর আগেই এই আশ্রম থেকে পড়াশোনা শেষ করে চলে গিয়েছিলেন গঙ্গেশানন্দ। কেরলের মহিলা কমিশনের এক সদস্য প্রমীলা দেবী বলেন, “ধর্মের নাম করে এমন ভণ্ডামি এবং কুকর্ম কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।” ওই তরুণী যোগ্য জবাব দিয়েছেন বলেও মনে করেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই কাজের জন্য খোদ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ওই তরুণীর পাশে দাঁড়িয়েছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Rape Castration Bobbitisation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy