(বাঁ দিকে) কিম জং উন। ভলোদিমির জ়েলেনস্কি (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনের সঙ্গে সামরিক যুদ্ধে রাশিয়ার বাহিনীকে সাহায্য করতে উত্তর কোরিয়া থেকে আগেই বিপুল সংখ্যক সেনা পাঠিয়েছিলেন সে দেশের শাসক কিম জং উন। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে দাবি করল কিভ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি তাঁর সাম্প্রতিক ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছেন, গত কাল কুরস্ক প্রদেশের মাখনোভকা গ্রামের কাছে সীমান্ত এলাকায় ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে হেরে গিয়েছে রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার যৌথ বাহিনী। শুধু তাই নয়, গত কালের সংঘাতে উত্তর কোরিয়ার অন্তত এক ব্যাটেলিয়ন সেনার মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করেছেন জ়েলেনস্কি। নিহত হয়েছেন রুশ প্যারাট্রুপ বাহিনীর বহু সদস্যও। ভিডিয়ো বার্তায় রাশিয়া বা উত্তর কোরীয় বাহিনীর মোট কত জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে, তা বিস্তারিত জানাননি জ়েলেনস্কি। তবে অনেকের মতে, গত কাল কুরস্কে কমপক্ষে কয়েকশো উত্তর কোরীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে। রুশ বাহিনীও প্রবল ধাক্কা খেয়েছে সেখানে।
ইউক্রেন এবং তাদের বন্ধু পশ্চিমি দেশগুলি গত বছরের অগস্টে দাবি করেছিল, কুরস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে অন্তত ১১ হাজার সেনা পাঠিয়েছেন কিম। দক্ষিণ কুরস্ক প্রদেশে মাখনোভকা গ্রামের কাছে গত কয়েক দিন ধরেই রাশিয়ার সঙ্গে প্রবল সংঘর্ষ বাধে ইউক্রেনের সেনার। জ়েলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় শীর্ষ কমান্ডার ওলেকজ়ান্ডার সিরস্কির দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মাখনোভকা-সহ ওই এলাকার বহু গ্রামই রাশিয়ার থেকে ফের ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেনীয় সেনা। সেই যুদ্ধেই বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে রাশিয়া আর উত্তর কোরিয়ার বাহিনীকে। তবে ইউক্রেনের এই দাবি নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। উত্তর কোরিয়ার তরফেও তাদের বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যু নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। জ়েলেনস্কি এর আগে একাধিক বার দাবি করেছেন, রাশিয়াকে সাহায্যে করতে এসে তাদের বাহিনীর তরফে কোনও সাহায্যই পাচ্ছেন না উত্তর কোরিয়ার সেনারা। উল্টে যুদ্ধক্ষেত্রে অনেক সময় নিজেদের বাহিনীর লোকজনের হাতেই মৃত্যু হচ্ছে তাঁদের। জ়েলেনস্কির এই অভিযোগ নিয়েও কখনও মুখ খোলেনি পিয়ংইয়্যাং।
ইউক্রেনের দাবি, আপাতত পোকরোভস্ক শহর দখল করার চেষ্টা করছে রাশিয়া। ওই এলাকাকে ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদাও করে দিতে চাইছে ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী। পোকরোভস্ক মূলত খনি অঞ্চল। সেখানে কয়লার বিপুল ভান্ডার রয়েছে। জ়েলেনস্কির দাবি, সেই কারণেই ওই এলাকাকে এখন নিশানা করতে চাইছে রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর আগে পোকরোভস্কে ৬০ হাজার লোকের বসবাস ছিল। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy