Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
coronavirus

Covid death: কোভিডে মৃত্যু ৯ লক্ষ ছাড়াল আমেরিকায়

তবে আমেরিকাতেও মৃত্যুহার কমতে দেখা যাচ্ছে। তৃতীয় সংক্রমণ ঢেউয়ে  সর্বোচ্চ গড় দৈনিক মৃত্যু ছিল ২৬৭৪।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:৪০
Share: Save:

কোভিড-১৯-এ মৃতের সংখ্যা ৯ লক্ষ ছাড়াল আমেরিকায়। অতিমারিতে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে এই দেশে। মৃত্যু-তালিকায় এর পরে রয়েছে রাশিয়া, ব্রাজিল ও ভারত।

এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে মূল সংক্রামক করোনা স্ট্রেন হল ওমিক্রন। এটি আগের ভেরিয়েন্টগুলির তুলনায় কম ক্ষতিকারক বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। সংক্রমণ ক্ষমতা এর অন্যদের থেকে বহু গুণ বেশি, কিন্তু মারণ ক্ষমতা কম। কিন্তু এর মধ্যেও ওমিক্রনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জো বাইডেনের আমেরিকা। কারণ হিসেবে অনেকে মনে করছেন, এই দেশে অল্পবয়সি জনসংখ্যা অনেক বেশি। তবে আমেরিকাতেও মৃত্যুহার কমতে দেখা যাচ্ছে। তৃতীয় সংক্রমণ ঢেউয়ে সর্বোচ্চ গড় দৈনিক মৃত্যু ছিল ২৬৭৪। সাত দিনের গড় মৃত্যু এখন কমে ২৫৯২ হয়েছে। আমেরিকার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, তারা কোভিড টিকার প্রথম দু’টি ডোজ়ের মাঝের সময়ের ব্যবধান বাড়ানোর কথা ভাবছে। আট সপ্তাহ করা হবে এই ব্যবধান। মাঝে এই সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে ফাইজ়ারের দু’টি ডোজ় নেওয়ার মাঝের ব্যবধান তিন সপ্তাহ। মডার্নার চার সপ্তাহ। এতে টিকার কার্যকারিতা কম মিলছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞেরা। হৃদ্যন্ত্রেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে অনেকের।

গোটা বিশ্বেই এখন সংক্রমণের রেখচিত্র নিম্নমুখী। ইউরোপও অনেকটাই সুস্থতার পথে। এই মহাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রিটেন। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভাল। যদিও ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের সাবধানবাণী, সংক্রমণ ফের বাড়তে পারে। কোভিড-১৯-এর গতিবিধির উপরে নজর রাখছেন, এমন কিছু এপিডিমিয়োলজিস্ট ব্রিটেন সরকারকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে ফের বিশালাকার সংক্রমণের ঢেউয়ের বাস্তবিক সম্ভাবনা রয়েছে। ‘দ্য সায়েন্টিফিক প্যানডেমিক ইনফ্লুয়েঞ্জা গ্রুপ অন মডেলিং, অপারেশনাল সাব-গ্রুপ’ জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ভেরিয়েন্ট তৈরি হওয়া সবচেয়ে বড় রহস্য তৈরি করে রেখেছে। এক প্রকার অজানা আতঙ্ক বিষয়টি। এক-একটি ভেরিয়েন্ট মিশছে, নতুন ধরনের কিছু তৈরি হচ্ছে। সবটাই ভীষণ রহস্যজনক। কেউ জানে না এর পর কী হবে। তাই বিপদের জন্য তৈরি থাকারই পরামর্শ দিচ্ছে এই বিশেষজ্ঞ দলটি। সাবধান থাকার অর্থ অবশ্য একটাই— লকডাউন, মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি বজায় রাখা। বিশেষজ্ঞেরা উদাহরণ দিয়ে জানাচ্ছেন, প্রশান্তমহাসাগরীয় ছোট্ট দেশ টোঙ্গাও করোনাকে আটকে দিয়েছিল। গত দু’বছর সেখানে কিছু ছিল না। অতিমারির আঁচ প্রথম টের পাওয়া গেল এই দেশে গত মাসে, যখন অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামির জেরে বিপর্যস্ত দেশটিতে বিদেশি ত্রাণ-সাহায্য পৌঁছল।

অন্য বিষয়গুলি:

coronavirus Covid Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE