E-Paper

রাশিয়ার জাহাজে কিভের ড্রোন হামলা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে একাধিক বার কৃষ্ণসাগরে রুশ সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। তবে ইদানীং কালে হামলার সংখ্যা বেড়েছে।

russia ukraine war

ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ ও কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার নৌসেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাল ইউক্রেন। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ০৭:১৭
Share
Save

ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ ও কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার নৌসেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাল ইউক্রেন। তাদের দাবি, সমুদ্রে ভাসমান রুশ জাহাজে এসে ধাক্কা মেরেছে যাত্রিবিহীন নৌকা, যা কি না আসলে এক ধরনের বিস্ফোরকবাহী ড্রোন। রাশিয়ার বক্তব্য, নিশানায় আঘাত করার আগেই ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ জাহাজ। ইউক্রেন অবশ্য তাদের হামলার প্রমাণস্বরূপ একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে একটি ছোট নৌকা এগিয়ে চলেছে একটি জাহাজকে লক্ষ্য করে। একেবারে শেষমুহূর্তে নৌকারূপী ড্রোনের ক্যামেরা অকেজো হয়ে যায়। ভিডিয়ো ঝিরঝির করতে থাকে। তবে এতে স্পষ্ট নয়, রাশিয়া ড্রোনটিকে ধ্বংস করেছে, নাকি জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে বিস্ফোরণের জেরে ড্রোন
ধ্বংস হয়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হয়েছে— ‘‘এ দিন রাতে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী দু’টি যাত্রিবিহীন নৌকার সাহায্যে রাশিয়ার নোভোরোসিস্ক নৌসেনা ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা করেছিল।’’ রুশ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাদের জাহাজ ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বাণিজ্যিক দিক থেকে কৃষ্ণসাগরের নোভোরোসিস্ক বন্দর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই টার্মিনাস ব্যবহার করেই কাজাখস্তানের তেল রাশিয়া হয়ে রফতানি করা হয়। মস্কোর সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বালানি সংস্থা ‘ক্যাস্পিয়ান পাইপলাইন কনসর্টিয়াম’ তেল রফতানির কাজ চালু রেখেছে। তবে জ্বালানিবাহী জাহাজগুলির যাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, নোভোরোসিস্ক বন্দরে সাময়িক ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে একাধিক বার কৃষ্ণসাগরে রুশ সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। তবে ইদানীং কালে হামলার সংখ্যা বেড়েছে। কৃষ্ণসাগরের পথে যাতে নিরাপদে শস্যদানা আমদানি-রফতানি করা যায়, সে জন্য তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেন চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। চুক্তি করা হয়েছিল, দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ চললেও প্রতিপক্ষের জাহাজে হামলা চালানো হবে না। যে দিন চুক্তি হয়েছিল, পরের দিনই ইউক্রেনের বন্দরে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। এর পর দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলতে থাকে। শেষমেশ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় রাশিয়া। এর পরেই কৃষ্ণসাগরে হামলার সংখ্যা বেড়েছে। এই সপ্তাহে একই রকম হামলা চালানো হয়েছিল আগেও। গত শুক্রবার, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছিল, ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলে তারা ১৩টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের কোনও ইঙ্গিত নেই। দু’পক্ষই একে অন্যকে নিশানা করে চলেছে। ইতিমধ্যে শোনা গিয়েছে, ২০২৩ সালের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ প্রায় দ্বিগুণ করে দিয়েছে রাশিয়া। ১০,০০০ কোটি ডলারেরও বেশি। জনপরিষেবার সমস্ত খাতে যা বরাদ্দ, তার তিন ভাগের এক ভাগই প্রতিরক্ষায়। ইউক্রেনে আগ্রাসনের প্রভাব ক্রমশই জোরালো হচ্ছে রুশ অর্থনীতিতে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Russia Ukraine War attack Ship Russia Ukraine

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।