পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে এক দল বিক্ষুব্ধ জনতার হামলার মুখে পড়লেন পাকিস্তানি মন্ত্রী। সিন্ধ প্রদেশের থাট্টা জেলা দিয়ে যাচ্ছিলেন পাকিস্তানের ধর্মীয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী খিয়েল দাস কোহিস্তানি। ওই সময়ে সরকারি কিছু নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন এক দল জনতা। তাঁরা মন্ত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে টোম্যাটো এবং আলু ছুড়ে মারেন বলে অভিযোগ। যদিও ওই ঘটনায় পাকিস্তানি মন্ত্রী অক্ষতই রয়েছেন।
বস্তুত, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের মন্ত্রিসভায় অন্যতম সংখ্যালঘু মুখ কোহিস্তানি। সিন্ধ প্রদেশে সেচের জন্য পাকিস্তান সরকারের বেশ কিছু খাল কাটার প্রকল্প ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সেচের জন্য ওই খালগুলি কাটা হলে সিন্ধ প্রদেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নদীর নিম্ন অববাহিকায় জলের ধারা কমে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই সরকারি প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গত কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে সিন্ধ প্রদেশে। শনিবারও এমন একটি বিক্ষোভের মুখে পড়েন কোহিস্তানি। মন্ত্রীর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ এবং তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে আলু-টোম্যাটো ছুড়ে মারার ঘটনাকে ‘হামলা’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আত্তা তারার।
আরও পড়ুন:
ঘটনার নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ়ও। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন শাহবাজ়। তিনি বলেন, “জনপ্রতিনিধিদের উপর আক্রমণ কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যাঁরা এই ঘটনায় জড়িত তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।” সিন্ধ প্রদেশের পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল গুলাম নবি মেমনের থেকে এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছেন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের সচিব। ঘটনার নিন্দা করেছেন সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মুরাদ আলি শাহও। এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।