প্রতীকী ছবি।
মেয়েদের নিয়ে তালিবানি শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন কাবুলের এক অধ্যাপক। তাঁকে জনগণের সামনে শাস্তি দিল তালিব সরকার। অধ্যাপকের এক বন্ধু সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, প্রথমে রাস্তার মাঝখানে অমানবিক ভাবে মারধর করা হয় অধ্যাপককে। তার পর সেখান থেকে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে অসম্মানজনক ভাবে নিয়ে যাওয়া হয় অজানা কোনও জায়গায়। তার পর থেকে আর অধ্যাপকের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কাবুলের ওই অধ্যাপকের নাম ইসমাইল মাসাল। সাংবাদিকতা নিয়ে কাবুলের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেন তিনি। তবে এখন সেই কাজ গিয়েছে। কিছু দিন আগেই একটি টিভি চ্যানেলের সামনে নিজের উচ্চশিক্ষার শংসাপত্রটি কুচি কুচি করে ছিঁড়েছিলেন মাসাল। বলেছিলেন, দেশের তালিব সরকারের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে এটাই তাঁর প্রতিবাদ। কারণ, তালিবান অন্যায় ভাবে দেশের মেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করে রাখছে। আর দেশের একজন শিক্ষিত নাগরিক হয়ে এবং শিক্ষক হয়েও তিনি সেই অন্যায় আটকাতে পারছেন না। মাসাল টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার সামনেই নিজের শংসাপত্র ছিঁড়ে ফেলে মাসাল বলেছিলেন, তা হলে এমন শিক্ষার স্বীকৃতির কী দরকার?
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, অধ্যাপক মাসাল সেই দুঃসাহসেরই জবাব পেলেন। তালিবান সরকার তাদের নতুন জমানায় যতই আরও সহনশীল ভাবে সরকার চালানোর প্রতিশ্রুতি দিক, আখেরে তো তারা সেই তালিবই। তাদেরকে পাল্টা চোখরাঙানোর ফল যে ভাল হবে না, এই শাস্তিতে সেটাই স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছে তালিবান।
তবে বাকিরা যা-ই বলুক, তালিব সরকার শাস্তি নিয়ে এত ব্যাখ্যায় যায়নি। তবে একই সঙ্গে শাস্তির কারণও গোপন করেনি। তালিবান সরকারের তথ্য এবং সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধিকর্তা আব্দুল হক হামাদ একটি টুইট করে জানিয়েছেন, ‘‘শিক্ষক মাসাল গত কিছু দিন ধরেই সরকারের বিরোধিতা করে উস্কানিমূলক কাজ কর্ম করছেন। তাই তদন্তের সুবিধার জন্যই তাঁকে আটক করা হয়েছে।’’ যদিও কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি হামাদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy