ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন। —ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী প্রচারে তিনি বারবার বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারেন। এ বারে সুইৎজ়ারল্যান্ডের দাভোসে আয়োজিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’-এ দেওয়া ভার্চুয়াল বক্তৃতায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, ‘‘সৌদি আরব ও ‘অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ়’ (ওপেক)-কে বলব, অপরিশোধিত তেলের দাম কমাতে। ওরা তেলের দাম কমালেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেমে যাবে।’’ যা শুনে বিন্দুমাত্র ক্ষোভ প্রকাশ না করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘‘ওই সময়ে ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকলে, এই যুদ্ধই হত না।’’ ট্রাম্পের এই মন্তব্য শুনে কূটনীতিকদের দাবি, ট্রাম্প ঘুরিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দায় সৌদি আরব এবং ওপেক-এর উপর চাপিয়েছেন। এ-ও বোঝাতে চেয়েছেন, এই যুদ্ধের সঙ্গে তেল কেনাবেচার সরাসরি যোগ রয়েছে।
রাশিয়ার যুদ্ধের খরচ অনেকটাই নির্ভর করছে তেল বেচাকেনার উপরে। কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদি আরব ও রাশিয়া প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ ব্যারেল তেল আটকে রাখছে, যাতে তেলের বাজারদর না পড়ে। ট্রাম্প জানান, সৌদি আরব এবং ওপেক কেন কিছু করেনি, এটা ভেবে তিনি বিস্মিত। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের মন্তব্যের পরে আজ অপরিশোধিত তেলের দাম ১ শতাংশ পড়ে গিয়েছে।
দাভোসের বক্তৃতার আগে ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন। লিখেছিলেন, যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি আনার জন্য তিনি যে চেষ্টা করছেন, তা আসলে রাশিয়া ও তাদের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘অনেক বড় সুবিধা’ করে দিচ্ছেন।
আমেরিকান প্রেসিডেন্টের বক্তব্য প্রসঙ্গে ক্রেমলিন প্রথমে জানায়, তারা ‘সাম্য বজায় রেখে আলোচনায় রাজি, একে অন্যের প্রতি সম্মান বজায় রেখে শ্রদ্ধাশীল আলোচনায় রাজি’। তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভের কথায়, ‘‘এই যুদ্ধের সঙ্গে তেলের সম্পর্ক নেই।’’ তিনি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে রাজি পুতিন। তিনি আমেরিকান প্রেসিডেন্টের ‘সিগন্যাল’-এর অপেক্ষায় রয়েছেন। পুতিন পরে বলেন, ‘‘২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে যে রুশ আগ্রাসন শুরু হয়েছিল, তা পুরোপুরি এড়ানো যেত, যদি ট্রাম্প সে সময়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকতেন। যদি ২০২০ সালে তাঁর জয় চুরি না যেত, তা হলে ইউক্রেনে এই বিপর্যয় ঘটত না।’’
আজ বন্ধু দেশ রাশিয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘‘ভারতের এই বিষয়ে অবস্থান ধারাবাহিক ভাবে একই রয়েছে। সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব আনা হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy