গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই রক্ষা পেয়েছে মারিয়ুপোলের ইস্পাত কারখানা! সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ইউক্রেনের বন্দর শহরটি দখলের পর সেখানকার বিশাল আঝবস্তাল ইস্পাত কারখানাটি গুঁড়িয়ে দিতে উদ্যত হয়েছিল রুশ বাহিনীর চেচেন যোদ্ধারা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজেই চেচেন নেতা রমজান কাদিরভকে ফোন করে সংযত হওয়ার নির্দেশ দেন।
তবে ইস্পাত কারখানাটি রক্ষা পেলেও সেখানে আশ্রয় নেওয়া ইউক্রেন সেনা এবং অসামরিক নাগরিকদের অনেককেই চেচেন যোদ্ধারা নির্মম ভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, জেনিভা সমঝোতা অমান্য করে রুশ ফৌজ মারিয়ুপোলের অনেক অসামরিক বাসিন্দাকে বন্দি করে অজ্ঞাত স্থানে পাঠিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পুরোপুরি ধ্বংস না হলেও রুশ গোলাবর্ষণে ইস্পাত কারখানাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের দাবি।
মারিয়ুপোল দখল হওয়ার ফলে ২০১৪ সালে দখল করা ক্রাইমিয়া যাওয়ার পথ সুগম হল রাশিয়ার। এই বন্দর শহরটির দখল পেতে প্রায় দু’মাস চেষ্টা চালিয়েছে পুতিন-বাহিনী। শহরের দখল রাখতে চেয়ে বুধবার পর্যন্ত প্রাণপণ লড়েছে ইউক্রেনের সেনাও। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। শেষ এক সপ্তাহ ধরে ওই ইস্পাত কারখানাকে ঘাঁটি বানিয়েই রুশ ফৌজের বিরুদ্ধে লড়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অনুগত সেনারা। সঙ্গে ছিলেন শহরের বাসিন্দাদের একাংশও।
মারিয়ুপোল দখলের জন্য মরিয়া পুতিন সাহায্য নিয়েছিলেন ককেশাসের চেচেন নেতা কাদিরভের মিলিশিয়া বাহিনীর। অতীতে সিরিয়া এবং হালফিলে ইউক্রেনের বুচায় গণহত্যায় জড়িত ছিল চেচেন যোদ্ধারাই। শেষ পর্যন্ত সংখ্যা এবং সমর সম্ভারে অনেক এগিয়ে থাকা রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয় মারিয়ুপোলে মোতায়েন ইউক্রেন সেনা। প্রেসিডেন্ট পুতিন বৃহস্পতিবার মারিয়ুপোলকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy