ইউক্রেন ও রাশিয়াকে শান্তি আলোচনার জন্য আমেরিকা চাপ দিচ্ছিল। গত কাল রাতে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেনের দিকে আঙুল তুলল রাশিয়া। তার পরে ইউক্রেনের তরফে জানানো হল, তারা আমেরিকার দেওয়া ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানতে রাজি। ফলে কিভের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা শুরু করেছে আমেরিকা। মস্কোর মেয়র সের্গেই সবিয়ানিন মঙ্গলবার জানান, সোমবার রাতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় অন্তত দু’জন নিহত হয়েছেন। আহত ১৮। ইউক্রেনের হামলার ফলে মস্কোতে সাময়িক ভাবে চারটি বিমানবন্দর ও ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। সৌদি আরবে আমেরিকান বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়োর সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। আমেরিকার তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়াকেও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানতে বলবে ওয়াশিংটন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, কিভ থেকে সোমবার রাতে রাশিয়াকে লক্ষ করে ৩৩৭টি ড্রোন হামলা করা হয়। এর মধ্যে ৯১টি মস্কোতে আঘাত করে এবং বাকিগুলির মধ্যে ১২৬টি ড্রোন আঘাত হানে কুর্ক্সে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক মেনে নিয়েছে, তিন বছর ধরে চলা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এটিই ইউক্রেনের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা। এর আগে গত নভেম্বরে মস্কোয় একসঙ্গে ৩৪টি ড্রোন হামলা চালিয়েছিল কিভ। তবে এ বার সেই সংখ্যাটা বহু গুণে ছাপিয়ে গিয়েছে।
সোমবারই সৌদিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনেস্কি। রুবিয়োর সঙ্গে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে দু’দেশ। ওয়াশিংটনে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জ়েলেনস্কির বৈঠকের প্রবল বাগযুদ্ধের পরে নিরাপত্তা সহযোগিতা বন্ধ রেখেছিল আমেরিকা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)