ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। —ফাইল চিত্র।
সরগরম ব্রিটেন। নির্বাচনের আর মাত্র তিন দিন বাকি। জোরকদমে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল, লেবার পার্টি ও কনজ়ারভেটিভ পার্টি (টোরি)। তবে জনমত সমীক্ষা যা আভাস দিচ্ছে, তাতে ৭২ শতাংশ ব্রিটেনবাসীই ঋষি সুনককে আর প্রধানমন্ত্রী চান না। এমনও আশঙ্কা করা হচ্ছে, শুধু হার নয়, এ বারের নির্বাচনে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়বে টোরিরা।
জনমত সমীক্ষা বলছে, লেবার পার্টি ৪০ শতাংশ ভোট পাবে, টোরিরা পাবে ২০ শতাংশ এবং নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন কট্টরপন্থী দল রিফর্ম ইউকে পাবে ১৬ শতাংশ ভোট। স্ত্রী অক্ষতাকে নিয়ে নেসডেনের স্বামীনারায়ণ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন সুনক। গোটা প্রচারপর্বেই হিন্দু ধর্মের প্রতি আস্থার কথা জানিয়েছেন তিনি। কথার মাঝেমাঝে ভগবত গীতা থেকে দু’এক লাইন বলেওছেন। যেমন বলেছেন, নির্বাচনের ফলাফল যা-ই হোক, তিনি কর্মের উপর বিশ্বাস করেন। অনেকেরই বক্তব্য, নিজের দলও সুনকের উপর তেমন একটা ভরসা করতে পারছে না। এ অবস্থায় একমাত্র ‘ঈশ্বরই ভরসা’ সুনকের।
রিফর্ম ইউকে-র নেতা ফারাজ দাবি করেছেন, কনজ়ারভেটিভদের ভোট এ বার তাঁদের ঘরে ঢুকবে। তাঁরাই প্রধান বিরোধী দল। আজ তাঁকে এক হাত নিয়েছেন সুনক। গলা চড়িয়েছেন লেবার নেতা কিয়ার
স্টার্মারের বিরুদ্ধেও। ফারাজও পাল্টা বলেছেন, সুনক ‘চূড়ান্ত পিছল’ পথে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁর দলেরই নেতা তাঁর প্রতি ‘জাতিবিদ্বেষী’ মন্তব্য করেছেন। সুনকও গত কাল এ নিয়ে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। জানিয়েছেন, তাঁর মেয়েও ওই মন্তব্য শুনেছে এবং স্বাভাবিক ভাবেই কষ্ট পেয়েছে।
প্রচারে জনসাধারণের প্রতি সুনকের বার্তা, যাঁরা এখনও নিশ্চিত নন, কাকে ভোট দেবেন, তাঁদেরকে অনুরোধ টোরিকে ভোট দিন। কারণ লেবার পার্টি শুধুই সমাজের মধ্যস্তরকে নিয়ে কথা বলছে। সকলের নিয়ে ভাবছে না। স্টার্মার পাল্টা বলেছেন, ‘‘ভাবুন কী ভয়ানক হবে! শুক্রবার ঘুম থেকে উঠে দেখলেন টোরিরা
আরও পাঁচ বছর দেশ চালাবে।’’ টোরিদের বিদ্রুপের পাশাপাশি তাঁর আর্জি, ‘‘এ বারের গ্রীষ্মে দেশে একটা বদল আসুক।’’ সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি— ‘‘আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হই, পার্টি পরে থাকবে, আগে দেশের কথা ভাবব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy