পাকিস্তানি মুদ্রা। —ফাইল চিত্র।
আর্থিক সঙ্কটের ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানে এ বার নোট বদলে ফেলার ভাবনা। কাগজের নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান। তার বদলে প্লাস্টিকের নোট নিয়ে আসার ভাবনা ইসলামাবাদের। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ে প্রকাশ, চলতি বছরের শেষের দিকেই এই প্লাস্টিকের নোট বাজারে নিয়ে আসতে চাইছে ইসলামাবাদ। নতুন ভাবে নকশা করা এই প্লাস্টিকের নোটগুলিতে সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
সম্প্রতি পাক সংসদের উচ্চকক্ষ সেনেটের ব্যাঙ্কিং ও অর্থনীতি সংক্রান্ত কমিটিকে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর জামিল আহমেদ এ কথা জানিয়েছেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই পুরনো কাগজের নোটগুলির বদলে প্লাস্টিকের নতুন নোট নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ১০, ৫০, ১০০, ৫০০, ১০০০ এবং ৫০০০ পাকিস্তানি রুপির নোটগুলি বদলে নতুন নকশায় বাজারে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান স্টেট ব্যাঙ্কের গভর্নর। সেনেটের ব্যাঙ্কিং ও অর্থনীতি সংক্রান্ত কমিটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক সূত্র পিটিআইকে বলেছেন, “পুরনো নোটগুলিকে পাঁচ বছরের জন্য বাজারে রাখা হবে। এর মধ্যে সেগুলিকে বাজার থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে তুলে নেওয়া হবে।”
প্লাস্টিকের নোট আনা হলেও পুরনো সব নোট একসঙ্গে বাজার থেকে বাতিল করে দেওয়া হবে না। পাকিস্তান স্টেট ব্যাঙ্কের গভর্নর বৈঠকে জানিয়েছেন, প্রথমে একটি রাশির নোট বাতিল করে দেখা হবে মানুষের মধ্যে কেমন প্রভাব পড়ছে। যদি মানুষ এটিকে ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করেন, তা হলে প্লাস্টিকের অন্য নোটগুলিকেও বাজারে পুরনো নোটের সঙ্গে বদলে ফেলা হবে। সেনেটের ওই বৈঠকে এক সদস্য ৫০০০ পাকিস্তানি রুপির নোট পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কারণ তাঁর মতে, অসাধু চক্র এই মোটা অঙ্কের নোটের ফয়দা তুলছে। যদিও এখনই ৫০০০ পাকিস্তানি রুপি পুরোপুরি বন্ধ করার পক্ষে মত নেই সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নরের।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে পলিমার প্লাস্টিকের নোট ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নোটগুলি জাল করা বেশ কঠিন। কারণ, এতে উন্নত মানের সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকে। ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়া প্রথম পলিমার প্লাস্টিকের নোট চালু করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy