Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Pakistan Court

ভুয়ো এনকাউন্টারে নিরপরাধ ছাত্রদের হত্যা! পাকিস্তানে চার পুলিশ আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

ছ’বছর আগে নিরপরাধ দুই ছাত্রকে ভুয়ো এনকাউন্টারে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পাকিস্তানের আদালত চার আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।

পাকিস্তানে চার পুলিশ আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ড আদালতের।

পাকিস্তানে চার পুলিশ আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ড আদালতের। —প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:০৮
Share: Save:

চার পুলিশ আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ড দিল পাকিস্তানের আদালত। অভিযোগ, নিরপরাধ দুই ছাত্রকে তাঁরা গুলি করে হত্যা করেছিলেন। সেই দোষ ঢাকতে সাজিয়েছিলেন এনকাউন্টারের ভুয়ো গল্প। সেই ঘটনার ছ’বছর পরে অবশেষে পাকিস্তানের আদালতে মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। অভিযুক্ত চার পুলিশ আধিকারিককে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। তাঁদের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য বলে বর্ণনা করেছেন বিচারক।

নিহত দুই ছাত্রের নাম আরসালান এবং উসমান। দু’জনেরই বয়স ১৯ বছর। ২০১৮ সালে লাহোর থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের ফৈসলাবাদ এলাকায় পুলিশের গুলিতে তাঁদের মৃত্যু হয়। আদালতে তাঁদের পরিবারের তরফে আইনজীবী জানিয়েছেন, সে দিন রাতে বাইরে খেতে গিয়েছিলেন দুই যুবক। বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। এক জায়গায় পুলিশ চেকপয়েন্ট তৈরি করেছিল। সেখানে তাঁদের বাইক আটকানো হয়। কিন্তু পুলিশের কথায় বাইক না থামিয়ে তাঁরা বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তখনই গুলি চলে।

অভিযোগ, বাইক না থামানোয় তৎক্ষণাৎ গুলি করে দুই যুবককে হত্যা করেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকেরা। এর পর বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে আইনের চোখ এড়াতে গল্প ফাঁদেন। বলা হয়, ডাকাতি করে ওই দু’জন পালাচ্ছিলেন। তাই পুলিশ এনকাউন্টারে তাঁদের মেরেছে। দু’জনের অতীতে অপরাধের ইতিহাস রয়েছে বলেও পুলিশ জানায়, যা অসত্য।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পাকিস্তানের পঞ্জাবের নিম্ন আদালতে বিচারক সাজিদা আখতার সোমবার এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করেন। চার অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ড দেন তিনি। তাঁদের পাকিস্তানি মুদ্রায় ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়। জরিমানার ওই টাকা পাবে নিহত ছাত্রদের পরিবার। দোষী সাব্যস্ত হওয়া চার পুলিশ আধিকারিক হলেন, আসগর আলি, ফলক শের, ফৈসল এবং ওয়াকাস। এ ছাড়াও আরও এক পুলিশ আধিকারিক সে দিনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে তেমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, দোষীরা ক্ষমা প্রদর্শনের অযোগ্য। কারণ, তাঁরা তাঁদের অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং তা করতে গিয়ে আরও অপরাধ করেছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy