Advertisement
E-Paper

সুশীলার পরামর্শে নেপালের সংসদ ভাঙেন রাষ্ট্রপতি পৌডেল! পুনর্বহালের দাবিতে জোট বাঁধছে সে দেশের রাজনৈতিক দলগুলি

নেপালি কংগ্রেস, সিপিএন-ইউএমএল-সহ সে দেশের প্রধান আটটি রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। তাদের দাবি, সংসদ ভেঙে দিয়ে অসাংবিধানিক আচরণ করেছেন রাষ্ট্রপতি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:২৬
Nepal\\\\\\\\\\\\\\\'s political parties unite to demand the restoration of parliament

(বাঁ দিকে) নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কী এবং রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

উত্তাল নেপাল ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে। খুলছে দোকানপাট, অফিস, হোটেল। স্বাভাবিক পথে ফিরছে ভারতের পড়শি দেশ। দিন দুয়েক আগেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কী। তাঁর পরামর্শেই নেপালের সংসদ ভেঙে দিয়েছেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ নেপালের রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের দাবি, ভেঙে দেওয়া সংসদ পুনর্বহাল করা হোক! তবে ইতিমধ্যেই নেপালে সাধারণ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সুশীলা। তিনি জানান, আগামী ৫ মার্চ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নেপালে। আপাতত ছ’মাসের জন্য দেশের সরকার চালাবেন সুশীলা।

নেপালি কংগ্রেস, সিপিএন-ইউএমএল-সহ সে দেশের প্রধান আটটি রাজনৈতিক দল ‘ঐক্যবদ্ধ’ হয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। তাদের দাবি, সংসদ ভেঙে দিয়ে অসাংবিধানিক আচরণ করেছেন রাষ্ট্রপতি। শুধু তা-ই নয়, রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য, ‘‘নেপালের বিচার বিভাগের প্রতিষ্ঠিত নজিরগুলির বিরুদ্ধাচরণ করেছেন রাষ্ট্রপতি।’’

সরকারি নির্দেশ না-মানায় বেশ কয়েকটি সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল কেপি শর্মা ওলির সরকার। এই নির্দেশের বিরোধিতায় পথে নামেন হাজার হাজার দেশবাসী। এই আন্দোলনের মুখ নেপালের ‘জেন-জ়ি’। অর্থাৎ, তরুণ প্রজন্ম। গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) নেপালের পার্লামেন্ট ভবন ‘দখল’ করতে যান আন্দোলনকারীরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের ‘নিরস্ত্র’ করতে গুলি চালায় পুলিশ। সোমবারই ১৯ জনের মৃত্যুর খবর মেলে। পরে সেই সংখ্যা বাড়তে থাকে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নেপালে অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে আন্দোলনের তেজ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। শুধু কাঠমান্ডু নয়, বিক্ষোভের রেশ গিয়ে পড়ে দেশের নানা জায়গায়।

বিক্ষোভকারীদের রোষের হাত থেকে নিস্তার পান না দেশের মন্ত্রী, আইনপ্রণেতারা। তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়, কোথাও কোথাও লুটপাট এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। আন্দোলনের কাছে শেষ পর্যন্ত ‘মাথা নত’ করতে হয় ওলির সরকারকে। পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ওলি। তাঁর পদত্যাগের পরই নেপালের শাসনভার হাতে তুলে নেয় সে দেশের সেনাবাহিনী। জারি করা হয় দেশ জুড়ে কার্ফু।

বৃহস্পতিবার থেকেই নেপালের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত হতে থাকে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কার্ফুও শিথিল করা হয়। তার মধ্যে বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে সুশীলাকে অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়া হয়। তবে এখনও অন্তর্বর্তী সরকারে মন্ত্রিসভা গঠন হয়নি। তার আগেই সংসদ পুনর্বহালের দাবি তুলল রাজনৈতিক দলগুলি।

Nepal Nepal Unrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy