(বাঁ দিকে) মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। —ফাইল চিত্র।
মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শুক্রবার শপথ নেবেন মহম্মদ মুইজ্জু। তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠিয়ে তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালেও, যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তে বিজ্ঞান বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর না যাওয়ার সিদ্ধান্তের কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। মন্ত্রকের বক্তব্য, ‘প্রতিবেশীই প্রথম’— ভারতের বিদেশনীতির এই অবস্থান মলদ্বীপের প্রতিও সমান ভাবে প্রযোজ্য। ভারতের আশা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। তবে ভারত মুখে এই কথা বললেও মলদ্বীপের চিনপন্থী বর্তমান সরকার যে সাউথ ব্লকের গলার কাঁটা হয়ে উঠতে চলেছে, তা স্পষ্ট।
মুইজ্জু গোড়াতেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর সরকার পূর্বতন প্রেসিডেন্ট সলিহ-র মতো ‘ভারতই প্রথম’ নীতি নিয়ে চলবে না। বরং ভারতের প্রভাব-বলয় থেকে দেশকে মুক্ত করাই তাঁর মনস্কামনা। সে দেশে এমনিতেই ভারত-বিরোধী একটি রাজনৈতিক হাওয়া বইতে
শুরু করেছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সে সময় মলদ্বীপের সঙ্গে তাদের একটি নৌ ঘাঁটির নির্মাণ, সহায়তা এবং রক্ষণবেক্ষণ সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেছিল ভারত। যদিও তা তৈরি হয়েছিল মলদ্বীপের জন্যই। কিন্তু অভিযোগ উঠেছিল, আসলে ভারত নিজের কৌশলগত সুবিধার জন্য মলদ্বীপকে ব্যবহার করছে। সলিহ জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন— এই অভিযোগ এনে নির্বাচনী প্রচার করেন মুইজ্জু।
এই অবস্থায় মুইজ্জুর শপথ অনুষ্ঠানে নিজে না গিয়ে রাজনৈতিক ভাবে অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে পাঠাচ্ছেন মোদী। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, নয়াদিল্লি গোড়াতেই মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্টকে কড়া বার্তা দিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy