ছবি রয়টার্স।
দীর্ঘদিনের বান্ধবী স্টেলা মরিসকে গত কাল বিয়ে করলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ব্রিটেনের এক কারাগারে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই এই অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন চার জন অতিথি। তাঁদের মধ্যে দু’জন বিয়ের সাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করেন।
আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের গোপন নথি প্রকাশের অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই ব্রিটেন থেকে অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণের দাবি জানিয়ে আসছে জো বাইডেনের দেশ। এই নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে আলাপ আলোচনার পাশাপাশি আইনি রাস্তাও নিয়েছে আমেরিকা।
যদিও ৫০ বছর বয়সি অ্যাসাঞ্জ বারেবারেই জানিয়েছেন, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। ২০১৯ সাল থেকে লন্ডনের কারাগারে বন্দি তিনি। তারও আগে সাত বছর ধরে লন্ডনে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাসে ছিলেন তিনি।
বিয়ের পরে বেলমার্শের ওই কারাগারের বাইরে বেরিয়ে অ্যাসাঞ্জ-পত্নী মরিস জানান, তিনি খুশি। একই সঙ্গে দুঃখিতও। তাঁর কথায়, ‘‘মন-প্রাণ দিয়ে অ্যাসাঞ্জকে ভালবাসি। আমার পাশে সে-ও যদি এখন থাকত! ’’
২০১১ সালে আইনি জটিলতা কাটাতে আইনজীবীদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। সেই সময়েই মরিসের সঙ্গে তাঁর আলাপ। মরিসও তাঁর আইনজীবী দলেই ছিলেন। ২০১৫ সাল থেকে পেশাদার সম্পর্ক গড়ায় ঘনিষ্ঠতায়। ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকাকালীনই অ্যাসাঞ্জ ও স্টেলার দুই সন্তান জন্মায়।
গত কাল বেলমার্শ জেলের ভিতরেই ‘ভিজ়িটিং আওয়ারস’-এ অ্যাসাঞ্জ-মরিসের বিয়ে হয়। অনুষ্ঠান শেষের হতেই চার অতিথি জেলের বাইরে বেরিয়ে পড়েন। বিখ্যাত ব্রিটিশ ফ্যাশন ডিজ়াইনার ভিভিয়ান ওয়েস্টউড অ্যাসাঞ্জ-মরিসের পোশাক তৈরি করেছেন। এর আগে অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণের জন্য আমেরিকার দাবির বিরুদ্ধে জোরালো প্রচার করেছিলেন ওয়েস্টউড।
জেল থেকে বেরিয়েই মরিস বিয়ে উপলক্ষে বিশেষ কেক কাটেন। বাইরে জড়ো হওয়া অ্যাসাঞ্জের সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনারা জানেন, কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এ এক কথায় নিষ্ঠুর ও অমানবিক।... ও এক জন দুর্দান্ত মানুষ। ওঁর দ্রুত মুক্তি পাওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy