—ফাইল চিত্র।
পশ্চিম এশিয়ার পরে এ বার আফ্রিকার মাটিতে সামরিক অভিযানের বার্তা দিল ইজ়রায়েল। গাজ়ার প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। লেবাননের শিয়া বাহিনী হিজ়বুল্লার পরে তাদের নিশানায় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা।
রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজ়রায়েলের দূত ড্যানি ড্যানন নিরাপত্তা পরিষদে বক্তৃতায় বলেন, ‘‘হুথিদের ইজ়রায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ করতে হবে। তারা যদি এই হামলা অব্যাহত রাখে, তা হলে হিজ়বুল্লা, হামাস ও সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের মতো একই ধরনের শোচনীয় পরিণতি হবে।’’ সেই সঙ্গে ইজ়রায়েলি দূতের হুঁশিয়ারি, ‘‘ইরানের যে কোনও প্রান্তেও হামলা চালানোর ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’’
ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের ওই হুঁশিয়ারির পরেই তেল আভিভের অদূরে হামলা চালায় হুথিরা। মঙ্গলবার হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, তেল আভিভের কাছে বেন গুরিওন বিমানবন্দর এবং জেরুজালেমের দক্ষিণে একটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র লক্ষ্য করে একটি হাইপারসনিক এবং একটি ‘জুলফিকর’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছেন তাঁরা। চলতি মাসের গোড়াতেও হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বা তার বেশি গতিসম্পন্ন) প্যালেস্টাইন-২ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইজ়রায়েলে হামলা করেছিল হুথি বাহিনী।
প্রসঙ্গত, গাজ়া ভূখণ্ডে ইজ়রায়েলি হামলা শুরুর পরে ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি গত নভেম্বর থেকেই ইয়েমেন উপকূল থেকে ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে লোহিত সাগরগামী বাণিজ্যিক জাহাজগুলির উপর। আক্রান্ত হয়েছে কয়েকটি ভারতীয় জাহাজও। পাশাপাশি, ইজ়রায়েল ভূখণ্ড নিশানা করেও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে চলেছে তারা। ইতিমধ্যেই পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন আমেরিকা সেনা হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে শুরু করেছে। সৌদি আরবের মদতপুষ্ট ইয়েমেনের সুন্নি মুসলিমগোষ্ঠীর সরকার শিয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু রাজধানী সানার উত্তরের বিভিন্ন অংশ এখনও হুথিদের নিয়ন্ত্রণে। ইরানের পাশাপাশি লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী হিজ়বুল্লার থেকেও তারা অস্ত্রসাহায্য পায় বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy