সাও পাওলো বিমানবন্দর। —ছবি : সংগৃহীত
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্রাজিলের সাও পাওলোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিতরে আটকে অন্তত ৬৬৬ জন এশীয় অভিবাসী। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কিছু ভারতীয়ও। এঁরা সকলেই ব্রাজিলে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজনীয় ভিসা এঁদের কারও কাছেই নেই। ভারতীয় ছাড়াও নেপাল, ভিয়েতনামের মতো দেশের বাসিন্দারাও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ওই বিমনাবন্দরে আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ব্রাজিলের ‘পাবলিক ডিফেন্ডার’ দফতরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সাও পাওলো বিমানবন্দরের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় আটকে রয়েছেন ওই ৬৬৬ জন এশীয় অভিবাসী। বিমানবন্দরে খুবই খারাপ অবস্থায় থাকতে হচ্ছে তাঁদের। পরিমাণ মতো জল, খাবার তাঁরা পাচ্ছেন না। এমনকি শিশুদের জন্য মিলছে না প্রয়োজনীয় কম্বলও। এই পরিস্থিতিতে অনেক অভিবাসীই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দিন কয়েক আগে ঘানা থেকে আসা এক অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে সাও পাওলোয়। তবে তিনি বিমানবন্দরে আটক অবস্থায় মারা গিয়েছেন না হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে, তা স্পষ্ট নয়। স্পষ্ট নয় বিমানবন্দরে আটকে থাকা ভারতীয় অভিবাসীদের আসল সংখ্যাও। মূলত কানাডা বা উত্তর আমেরিকায় যাওয়ার জন্য ব্রাজিলের এই শহরকে বেছে থাকেন এশিয়ার নানা দেশের অভিবাসীরা। অনেক অভিবাসী আবার কানাডা বা আমেরিকায় না গিয়ে ব্রাজিলেই আশ্রয় নেওয়ার জন্য এ দেশের সরকারের কাছে অনুমতি চান। মানবিকতার খাতিরে এই সব আশ্রয়প্রার্থীর আর্জি যাতে সরকার মেনে নেয়, সেই আবেদন করেছেন ওই মুখপাত্র।
তবে আগামী কাল থেকে অভিবাসন সংক্রান্ত কিছু নীতিতে বদল আনছে ব্রাজিল সরকার। সংবাদ সংস্থা এপি জানাচ্ছে, নির্দিষ্ট ভাবে সাও পাওলো বিমানবন্দরেই এশিয়ার কয়েকটি দেশের অভিবাসীদের ঢোকার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে তারা। এই নতুন নীতিতে ব্রাজিলে থাকতে গেলে ভিসার প্রয়োজন হবে ওই অভিবাসীদের। ব্রাজিলের শরণার্থী কমিটির প্রধান জিন উয়েমা জানিয়েছেন, নতুন নীতি শুধু মাত্র সাও পাওলোর জন্যই পাল্টাচ্ছে। দেশের অন্যত্র তাঁদের শরণার্থী নীতি একই থাকবে। তবে আটক এই ৬৬৬ জন এশীয় অভিবাসীর ক্ষেত্রে নতুন নীতি কার্যকর করা হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy