—প্রতীকী চিত্র।
পশ্চিম এশিয়া প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনায় কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলেছিলেন পাকিস্তানের প্রতিনিধি। সেই বিষয়টির উল্লেখ করে আজ রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের ডেপুটি স্থায়ী প্রতিনিধি আর রবীন্দ্র বলেন, ‘‘ওই মন্তব্য আমরা ঘৃণাভরে অবজ্ঞা করছি। এ বিষয়ে উত্তর দিয়ে বিষয়টিকে কোনও বাড়তি মর্যাদা দিতে চাই না।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের স্থায়ী সদস্য মুনির আক্রম সম্প্রতি পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘প্যালেস্টাইন ও কাশ্মীরের অধিকৃত এলাকার বাসিন্দাদের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছে যে সব রাষ্ট্র, এই নিরাপত্তা পরিষদেই তাদের মিত্র রাষ্ট্রেরা রয়েছে।’’ নাম উল্লেখ না-করলেও পাক প্রতিনিধির মন্তব্যের অন্যতম তির যে ভারতের দিকেই ছিল, তা নিয়ে সংশয়ের কোনও অবকাশ নেই। আজ তাঁর বক্তব্য পেশ করার সময়ে ভারতের প্রতিনিধি রবীন্দ্র বলেন, ‘‘একটি বিশেষ দেশের স্বভাবই হচ্ছে এ ধরনের মন্তব্য করা। কিন্তু আমি সেই প্রসঙ্গে কোনও কথা বলব না। যে ভূখণ্ডের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা ভারতীয় রাষ্ট্রের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং আমার দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’’ প্রসঙ্গত, ইজ়রায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে কাশ্মীরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে চায় প্রশাসন। এই বিষয়ে আজ শ্রীনগরে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকও হয়েছে।
পশ্চিম এশিয়া নিয়ে রাষ্ট্রপঞ্জের আলোচনায় পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার উল্লেখ করেছিলেন আমেরিকান বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও ধরনের সন্ত্রাস, তা সে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা বা প্যালেস্টাইনি হামাস যে-ই করুক না কেন, নিউ ইয়র্ক বা মুম্বই বা কিবুৎজ় বিরি— হামলা যেখানেই হোক না কেন, আমরা তার বিরোধিতা করি। এ ধরনের ঘৃণ্য হামলা প্রতিরোধ করার অধিকার সব রাষ্ট্রের রয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের কোনও সদস্য দেশ তাদের নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা মেনে নেবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy