Advertisement
E-Paper

রাজপরিবার থেকে বিচ্ছেদ সম্পূর্ণ হ্যারি-মেগানের

ব্রিটেনের ট্যাবলয়েডগুলিতে এখন হইচই, হ্যারি-মেগান কি এ সব বলে রাজপরিবারকে ‘অসম্মান’ করলেন?

রাজকুমার হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান।

রাজকুমার হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান। ফাইল ছবি।

শ্রাবণী বসু

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:৩৩
Share
Save

রাজকীয় পরিচয় ত্যাগ করে গত বছর মার্চেই বাকিংহাম থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন রাজকুমার হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান। এক বছর পর্যালোচনার পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল তাঁদের। হ্যারি এবং মেগান জানিয়ে দিয়েছেন, রাজপরিবারের সক্রিয় সদস্য হিসেবে তাঁরা আর ফিরতে রাজি নন। বাকিংহামও সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে এবং তদনুযায়ী যাবতীয়
রাজকীয় এবং সামরিক দায়দায়িত্ব এবং উপাধি থেকে তাঁদের অব্যাহতি নিতে বলেছে। রানি নিজে নাতি-নাতবউয়ের এই সিদ্ধান্তে ‘দুঃখিত’ হলেও পারিবারিক ভাবে তাঁরা আগের মতোই ‘আদৃত’ হবেন বলে জানিয়েছে বাকিংহাম।

তবে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, এই বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া খুব নিস্তরঙ্গ ছিল না। বাকিংহাম তার বিবৃতিতে বুঝিয়ে দিয়েছে, হ্যারি-মেগানরা রাজকীয় সুযোগসুবিধা আর পাবেন না। তাঁরা নিজেদের রাজকীয় প্রতিনিধি হিসেবেও দাবি করতে পারবেন না। ফলে স্পটিফাই বা নেটফ্লিক্সের সঙ্গে চুক্তিতে কিংবা ওপরা উইনফ্রে-র শো-এ হ্যারি-মেগানরা নিজেদের রাজকীয় পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন কি না, সেটা বড় প্রশ্ন। অনেকে মনে করছেন, ওপরার শো-এ রাজপরিবার থেকে তাঁদের বেরিয়ে আসা নিয়ে কথা বলবেন হ্যারি-মেগান, এই ঘোষণাও বাকিংহামকে কঠোর হতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

রয়্যাল মেরিন থেকে অপসারণের বিষয়টি হ্যারিকে বিশেষ করে আঘাত করেছে বলে খবর। কমনওয়েলথের নানা সংগঠন এবং ন্যাশনাল থিয়েটারে মেগানের প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্বও আর থাকছে না। বাকিংহাম সরাসরি বলেছে, ‘‘হ্যারি-মেগানের জীবন এখন আর প্রাতিষ্ঠানিক জনসেবার উপযুক্ত নয়।’’

বাকিংহামের বিবৃতি জারির আগে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নিজে হ্যারির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে খবর। কিন্তু বাকিংহামের বিবৃতি যে হ্যারি-মেগানকে খুশি করেনি, সেটা তাঁদের বিবৃতিতে স্পষ্ট। হ্যারি-মেগান সেখানে বলেছেন, ‘‘গত এক বছর ধরে যেমনটি দেখা গিয়েছে, ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স (হ্যারি ও মেগান) তাঁদের কর্তব্যের প্রতি একই রকম দায়বদ্ধ। যে সব সংস্থার সঙ্গে তাঁরা যুক্ত ছিলেন, আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব ছাড়াই তাঁরা সেগুলির প্রতি তাঁদের দায়িত্ব পালন করে যাবেন। আমরা সকলেই জীবনটা জনসেবার কাজে নিয়োগ করতে পারি। জনসেবা সর্বজনীন।’’

ব্রিটেনের ট্যাবলয়েডগুলিতে এখন হইচই, হ্যারি-মেগান কি এ সব বলে রাজপরিবারকে ‘অসম্মান’ করলেন?

Prince Harry Meghan

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}