দুষ্কৃতী হামলার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ। বুধবার আমেরিকার নিউ অরলিন্স শহরে। ছবি: রয়টার্স।
আমেরিকায় দৃষ্কৃতী হানায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ হল। আহত অন্তত ৩০। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নতুন বছরের প্রথম দিনেই ভয়াবহ দুষ্কৃতী হামলা ঘটে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্স শহরে। ভিড়ের মধ্যে প্রবল গতিতে গাড়ি চালিয়ে বহু মানুষকে পিষে দেন ঘাতক। পুলিশকে লক্ষ্য করেও গুলি ছোড়া হয়। পরে পুলিশের গুলিতেই মারা যান ওই ঘাতক, শামসুদ-দিন জব্বর।
দুষ্কৃতী হামলায় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেটস (আইএস)-এর যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দাদের একাংশ। কারণ, ঘাতক যে গাড়ি নিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন, সেই গাড়ি থেকেই মিলেছে আইএসের পতাকা। সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, পতাকা ছাড়াও ওই গাড়ি থেকে বন্দুক এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা ফেডেরাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) জানিয়েছে, হামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি আগে আমেরিকার সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। ২০০৭ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত তিনি সেনাবাহিনীর নিয়মিত সদস্য ছিলেন। ২০১৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য হিসাবে কাজ করেন তিনি।
তবে এফবিআই মনে করছে, এই হামলার নেপথ্যে একা জব্বর নন, আরও অনেকে জড়িত। আপাতত জব্বরের সঙ্গীদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই হামলার নিন্দা করে জানিয়েছেন, হামলার আগে আততায়ী সমাজমাধ্যমে যে ভিডিয়োটি পোস্ট করেছিলেন, সেটি এফবিআইয়ের গোয়েন্দারা খুঁজে পেয়েছেন। সেই ভিডিয়োয় আততায়ীকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, তিনি আইএসের ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত (তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ওই ভিডিয়োয় জব্বর জানিয়েছিলেন যে, তিনি বিবাহবিচ্ছেদ চান এবং পরিবারের সকলকে এক জায়গায় এনে হত্যা করতে চান। পরে তিনি এই পরিকল্পনা বদলে ফেলেন এবং জানান তিনি আইএসে যোগ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy