Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Election Process

নির্বাচনী পুস্তিকার সঙ্গে স্বাদু ওয়্যাফল

জার্মানিতে পাড়ায়-পাড়ায় ঘুরে বা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচার করার কোনও রেওয়াজ নেই। তবে ভোটের চার থেকে ছ’সপ্তাহ আগে রাস্তায় রাস্তায় রাজনৈতিক প্রচার-পোস্টার টাঙানোর অনুমতি দেওয়া হয়।

—প্রতীকী চিত্র।

সোহাগ মজুমদার হফ্
আখেন (জার্মানি) শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:৫৭
Share: Save:

ভারতে তো দু’দিন বাদেই ভোট শুরু হয়ে যাচ্ছে। দেশ থেকে খবর পাচ্ছি, খুব জোরদার প্রচার চলছে পাড়ায় পাড়ায়। আমাদের এই দেশে ভোট আগামী বছর, সেপ্টেম্বরে। এই ভোটের মাধ্যমে আমাদের দেশের শীর্ষ নেতা বা বুন্ডেসকান্জ়লার (ইংরেজিতে যাঁকে চ্যান্সেলর নামে ডাকা হয়) নির্বাচিত হবেন। তার কয়েক সপ্তাহ আগে সরকারই নির্বাচন-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। তবে এখানে ভোট প্রচার বা ভোট
দেওয়ার পদ্ধতি ভারতের থেকে অনেকটাই আলাদা।

প্রথমেই বলি প্রচারের কথা। জার্মানিতে পাড়ায়-পাড়ায় ঘুরে বা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচার করার কোনও রেওয়াজ নেই। তবে ভোটের চার থেকে ছ’সপ্তাহ আগে রাস্তায় রাস্তায় রাজনৈতিক প্রচার-পোস্টার টাঙানোর অনুমতি দেওয়া হয়। তা ছাড়া, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বুথ তৈরি করে নির্বাচনী কাগজ ও পুস্তিকাও বিলি করে। সেখানে সেই দলের মতাদর্শ ও কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা থাকে। শুধু কাগজ দিলে লোকে নেবে কেন? তাই সঙ্গে দেওয়া হয় ফুল, বা পেন, অনেক সময়ে সুস্বাদু ওয়্যাফল-ও!

নির্বাচনের দিন বুথে গিয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ তো রয়েইছে। তবে এ দেশে অনেকেই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন। ১৯৯৮ থেকে এ দেশে ভোট দিচ্ছি। প্রথম প্রথম বুথে গিয়েই ভোট দিতাম। তবে এখন পোস্টাল ব্যালটই ব্যবহার করি।

এ দেশে ১৮ বছর হলেই ভোট দেওয়া যায়। তবে কয়েকটি প্রদেশে ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়স ১৬। সেই সব প্রাদেশিক নির্বাচনগুলিতে ১৬ হলেই ভোট দিতে পারে কিশোর-কিশোরীরা।

ভোট এখানে সব সময়েই রবিবার হয়। কোন স্থানীয় স্কুল বা সরকারি দফতরে বুথ করা হয়। ভোটের ৩০ দিনের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করে নতুন সরকার গড়তে হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Election Process Germany Election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE