বাংলা থেকে পাঁচ হাজার মাইল দূরে, ইংল্যান্ডের পূর্ব প্রান্তে, লন্ডনের পড়শি কাউন্টি এসেক্স। কিন্তু এখানকার আকাশেও সেই একই রকম শরতের মেঘ আর মাটিতে সেই কাশফুলের ছোঁয়া। দেশে থাকার সময়ে পুজো বলতে মনে যে অনুভূতি হত, এসেক্সের দুর্গাপুজোও ঠিক একই অনুভূতির ধারক ও বাহক।
ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে এ বারে ‘এসেক্স দুর্গাপূজা’র ১০ বছর। ২৬ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর গিডিয়া পার্ক ক্রিকেট ক্লাবে এই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিমাশিল্পী প্রখ্যাত মোহনবাঁশী রুদ্রপাল ঘরানার সনাতন রুদ্রপাল। অপরূপ প্রতিমার সঙ্গে রয়েছে অভিনব মণ্ডপসজ্জা ও তোরণ। সবুজ পার্কের মাঝে, দেওয়ালে দেওয়ালে নিউ মার্কেট, হাওড়া ব্রিজ, দক্ষিণেশ্বর, তার সঙ্গে কালীঘাটের পটুয়াশিল্পীদের হাতে আঁকা ছবি— মনে হবে আপনি যেন কলকাতাতেই আছেন।
এসেক্সে আর একটি পুজোর আয়োজন করে ‘বেঙ্গল কালচারাল আ্যসোসিয়েশন’। এই সংগঠনের এ বছর সুবর্ণজয়ন্তী। জেম্স হকলি হলে এসেক্সের উডফোর্ড গ্রিনে পাঁচ দিনব্যাপী পুজো করবে কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। পুজো হবে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর।
এসেক্সের ‘উৎসব ক্লাব’-এর পুজো পড়ল ১৫ বছরে। অভিজাত ভিক্টোরিয়ান রেডব্রিজ হলে পুজোর আয়োজন হয়েছে। প্রতিদিন দু’বেলা থাকছে সুস্বাদু ভোগ, আর প্রতি সন্ধ্যায় হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসেক্সের প্রতিটি পুজোয় আন্তরিকতার স্পর্শ। পুজোর মধ্যে দিয়ে যেমন কলকাতার সঙ্গে আমাদের প্রাণের স্পন্দন ধরে রাখতে চাই, তেমনই চাই কলকাতা থেকে এত হাজার মাইল দূরে থেকেও তিলোত্তমার আন্দোলনের পাশে থাকতে। আরজিকরের নির্যাতিতার মা-বাবাকে বার্তা দিতে চাই— ‘আমরা সঙ্গে ছিলাম, আছি ও থাকব’।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)