—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
‘এক দিন যদি বাধা পড়ে কাজে শারদ প্রাতে— মনে রেখো।’
দেশ থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে বসে সংবাদমাধ্যম বা সমাজমাধ্যমে ভেসে ওঠা বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজোর নানা রকম বাহারি খবরের মাঝেও, ঢাক বা শঙ্খের থেকেও বেশি করে কেন জানি কবিগুরুর গানের এই লাইনগুলোই শুধু মনকে নাড়া দিয়ে যাচ্ছে! মাতৃপক্ষকাল হয়েও এ যেন ক্রান্তিকাল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা ‘তোমার স্বর আমার স্বর, জাস্টিস ফর আর জি কর’ যেন আজও ধ্বনিত হচ্ছে আকাশে-বাতাসে। ঘটনাস্থল থেকে এত দূরেও সেই স্বর ধ্বনিত হচ্ছে, মহালয়ার সকালের মহামায়ার আবাহনী সঙ্গীতকেও ছাপিয়ে।
তবু কি বাঙালির পুজো নেই? আছে। তবে এ বার উৎসব জুড়ে শুধুই একটি অকালে ঝরে পড়া ফুলের স্মৃতি। বিলেতের পুজোগুলিতেও সেই নির্যাতিতারই স্পষ্ট উপস্থিতি। অগস্টের সেই কালো রাত্রির পরেই বিলেতের বিভিন্ন শহরের প্রবাসী বাঙালি তথা ভারতীয়েরা গর্জে উঠেছেন প্রতিবাদে। ইংলিশ চ্যানেলের তীরে অবস্থিত দক্ষিণ ইংল্যান্ডের ছোট্ট ছিমছাম শহর বোর্নমথ-ও সেই প্রতিবাদে শামিল হয়েছে।
এই শহরেই ২০১৬ সালে গুটিকয়েক বাঙালি পরিবারের হাত ধরে শুরু হওয়া ডরসেট ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত শারদ উৎসব আজ বিলেতের অন্যতম জনপ্রিয় পুজোগুলির একটি। সেই পুজো জুড়েও এই বছর আর জি করের নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদের ছাপ। পুজোয় প্রকাশিত ম্যাগাজিন ‘পেখম’-এর নানা লেখায় থাকছে সেই ক্ষোভের প্রকাশ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও থাকছে নাচ, গান, কবিতাপাঠ নিয়ে গঠিত চিত্রনাট্যের এক বিশেষ গীতি আলেখ্য। প্রবাসী পুজোর মননে দাবি একটাই— বিচার চাই!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy