এ বার ইরাকে আইএস নেতা খুনের কৃতিত্বও নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের তরফে সেই ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে সমাজমাধ্যমে। পোস্টে লেখা হয়েছে, বিমানহামলা চালিয়ে আইএস নেতাকে নিকেশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্প নিজেও সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি এসেছে।’’
আমেরিকা এবং ইরাকের সেনার যৌথ অভিযানে শুক্রবার নিহত হয়েছেন আইএস নেতা আবদুল্লাহ মাক্কি মুসলিহ আল-রুফায়ি ওরফে আবু খাদিজা। এ কথা ঘোষণা করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী শিয়া আল-সুদানি। তার পরেই ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘শুক্রবার ইরাকে আইএসের পলাতক নেতা নিকেশ হয়েছেন। আমাদের নির্ভীক যোদ্ধারা নিকেশ করেছেন তাঁকে। তাঁর দুর্দশাগ্রস্ত জীবনে ইতি পড়েছে। আইএসের আর এক সদস্যও নিহত হয়েছেন। সহযোগিতায় ছিল ইরাক সরকার এবং কুর্দিশ আঞ্চলিক সরকার। শক্তির মাধ্যমে শান্তি।’’ অভিযানের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউসও। তারা কৃতিত্ব দিয়েছে ট্রাম্পকে। দাবি করেছে, প্রেসিডেন্টই নিকেশ করেছেন খাদিজাকে।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধে ইতি টানতে বদ্ধপরিকর। দুই দেশের মধ্যে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। তাতে সায় দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। কিছু প্রশ্ন তুললেও সমর্থন জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে বলেও শুক্রবার জানিয়েছেন ট্রাম্প। তার পরের দিনই তিনি জানালেন, ইরাকে নিকেশ হয়েছে আইএস নেতা। এ বার ওই অঞ্চলেও শান্তি ফিরবে। আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলা বলেন, ‘‘আইএস সংগঠনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন আবু খাদিজা। আমাদের মাতৃভূমি আমেরিকা এবং তার সঙ্গীদেশের জন্য বিপজ্জনক জঙ্গিদের এ ভাবেই আমরা মারব। তাদের সংগঠন ভেঙে দেব।’’ আমেরিকার প্রশাসনের কেউ কেউ দাবি করছেন, নিজেকে ‘শান্তিদূত’ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন ট্রাম্প। শান্তির নোবেল পেতে আগ্রহী তিনি। সে কারণে যুদ্ধবিরতি, জঙ্গি নিকেশের বিষয়ে তৎপর হয়েছে সরকার। এ বার তাই খাদিজার নিকেশের ‘কৃতিত্ব’ও তাঁকেই দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
ইরাকের গোয়েন্দা দফতর, নিরাপত্তাবাহিনী এবং আমেরিকার বাহিনী ইরাকের আল আনবার প্রদেশে যৌথ অভিযান চালায়। তাদের সূত্রেই জানা গিয়েছে, গাড়িতে চেপে যাচ্ছিলেন আবু খাদিজা এবং তাঁর এক সঙ্গী। সেই সময়ে আকাশ থেকে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় আমেরিকা। হামলার পর পরই ওই এলাকায় যায় মার্কিন বাহিনী সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এবং ইরাকের বাহিনী। তারাই আবু খাদিজা এবং তাঁর এক সঙ্গীর দেহ শনাক্ত করে।