আমেরিকায় আমদানি হওয়া সমস্ত গাড়িতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হতে চলেছে। বুধবার নিজেই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, এই সিদ্ধান্তের ফলে যেমন আমেরিকার উৎপাদন গতি পাবে, তেমনই বছরে রাজকোষে ঢুকবে অতিরিক্ত ১০ হাজার কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৬ হাজার কোটি টাকা)। যদিও ট্রাম্পের শুল্ক চাপানোর এই সিদ্ধান্তে আশঙ্কার মেঘই দেখছে সে দেশের বণিকমহল।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী ২ এপ্রিল থেকেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তার পরের দিন, ৩ এপ্রিল থেকে শুল্ক কাটা হবে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি, অর্থাৎ আমদানি এবং রফতানিকৃত পণ্যের আর্থিক পরিমাণ কমাতে ট্রাম্প বহু দিন ধরেই আমেরিকার আমদানি করা পণ্যে শুল্ক চাপানোর কথা বলছেন। ইতিমধ্যেই পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন তিনি। এই আবহে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ট্রাম্পের মুখে আমদানিকৃত গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্ক চাপানোর কথা শোনা গিয়েছিল। এক মাস পরে, তাঁর সেই ভাবনাই কার্যকর করতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প এ-ও জানিয়েছেন যে, আমদানি হওয়া গাড়িতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত পাকাপাকি ভাবেই থাকছে। এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সে দেশের অর্থনীতিবিদ এবং শিল্পপতিদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, হঠাৎ করে দেশে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় না। তা ছাড়া অতিরিক্ত শুল্ক চাপলে গাড়ি কেনা মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে বেরিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার বদলে হ্রাস পেতে পারে।
আরও পড়ুন:
এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি তথা বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থা টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্কের কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, অন্য দেশে তৈরি হওয়া গাড়ির দাম বাড়লে আমেরিকায় টেসলার বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেতে পারে। ট্রাম্প অবশ্য জল্পনা খারিজ করে বলেছেন, “মাস্ক গাড়িতে শুল্ক আরোপের পরামর্শ দেননি। উনি আমার কাছে কোনও সুবিধাও চাননি।”