তাইওয়ান ঘিরে নতুন নৌমহড়া শুরু চিনা সেনার। ছবি: রয়টার্স।
তাইওয়ানকে ঘিরে নতুন করে নৌযুদ্ধের মহড়া শুরু করল চিন। একাধিক দিক থেকে ঘিরে চিনসাগরের ‘দ্বীপরাষ্ট্রের’ বন্দরগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দিতেই চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র এই তৎপরতা বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ায় আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভসের স্পিকার তথা রিপাবলিকান পার্টির নেতা কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। তার পরেই শি জিনপিং সরকারের এই সামরিক আস্ফালন।
গত অগস্টে চিনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তার পরেই ফুজ়িয়ান প্রদেশ লাগোয়া তাইওয়ান প্রণালীর পিংটন দ্বীপের অদূরে আকাশ এবং জলযুদ্ধের মহড়া শুরু করেছিল চিনা সেনা। তাইওয়ান থেকে এই এলাকার দূরত্ব ২০ কিলোমিটারেরও কম। গত সাত দশকের সংঘাত-পর্বে কখনওই তাইওয়ান সীমান্তের এত কাছে চিনা ফৌজের যুদ্ধ মহড়া হয়নি।
এ বারের নৌমহড়াও তার কাছাকাছি এলাকাতেই শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পিএলএ-র একাধিক বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ, ডেস্ট্রয়ার, যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার মহড়ায় অংশ নিয়েছে। চিনা হামলা ঠেকাতে তাইওয়ান ফৌজও প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের দাবি। গত আট দশক ধরেই স্বশাসিত তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন অঞ্চল বলেই মনে করে। যদিও তারা চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে কখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করেনি। অন্য দিকে, কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত একদলীয় চিনের শাসকেরা বরাবরই মনে করেন, তাইওয়ান তাঁদের অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy