— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দক্ষিণ জার্মানির মৈত্রী ক্লাব আয়োজিত স্টুটগার্ট সর্বজনীন দুর্গাপুজো এ বার চতুর্থ বছরে পা দিল। স্টুটগার্ট শহরকে সাধারণত মার্সিডিজ় আর পোর্শের শহর হিসেবেই সবাই চেনে। তবে এখানকার বাঙালিরা মৈত্রী ক্লাবের মাধ্যমে এক দিকে যেমন বাংলার শিল্প-সংস্কৃতিকে বিশ্ব মানচিত্রে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, অন্য দিকে বাংলার ক্লাব কালচারের ‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’ এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন বিভিন্ন সামাজিক কাজের মাধ্যমে।
মৈত্রীর এ বারের পুজোয় দুর্গাপুজোর কোনও স্বাদই বাদ পড়ার উপায় নেই। কলকাতার প্রতিমা, পুজোর মণ্ডপ, আলোকসজ্জা, ঢাকের বাদ্যি, সন্ধ্যারতি, ধুনুচি নাচ, পেটপুজোর বিশাল আয়োজন— সব কিছুই থাকছে। আগের তিন বছরে এই পুজো ধারাবাহিক ভাবে জার্মানিতে নজর কাড়ার পর মৈত্রীর পূজো মানুষের মনে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। আর এ বারের পুজো আরও বড় আকারে হচ্ছে। চার দিনের পুজোয় সকাল-বিকেল মিলিয়ে এক হাজারের বেশি মানুষ যোগ দিচ্ছেন।
পুজোর মজা উপভোগ করার জন্য রয়েছে ধুনুচি নাচ, পুজোর ফ্যাশন, গান-বাজনা, হাসি-আড্ডা। এ বার পুজোর বিশেষ আকর্ষণ রবীন্দ্রনাথের ‘তাসের দেশ’ উপস্থাপনায় মৈত্রীর সদস্যরা। সমসাময়িক বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে এবং আর জি কারের প্রতিবাদের পাশে দাঁড়াতে মৈত্রীর এই প্রয়াস। আমাদের উদ্দেশ্য, এক দিকে যেমন বাংলার তথা ভারতের সংস্কৃতিকে আরও মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া, অন্য দিকে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষে-মানুষে মেলবন্ধন তৈরি করা। মায়ের আশীর্বাদ থাকুক সকলের জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy