প্রতীকী ছবি
সীমান্ত সমস্যা নিয়ে এ বার চিনের প্রতি কড়া অবস্থান নিল ভুটান। সূত্রের খবর, চিন-ভুটান সীমান্তের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত স্যাকটেং অভয়ারণ্যের জন্য বেজিংয়ের দাবি খারিজ করে দিয়ে নয়াদিল্লিতে ভুটান দূতাবাসের পক্ষ থেকে চিনের দূতাবাসে কূটনৈতিক প্রতিবাদপত্র বা ‘ডিমার্শে’ পাঠানো হয়েছে।
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বেজিং-নয়াদিল্লির সংঘাতের আবহেই ভুটানের সঙ্গে চিনের সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যা ফের সামনে আসে। ভুটান সীমান্তে অবস্থিত ওই অভয়ারণ্যকে নিজেদের জমি বলে দাবি করে বেজিং। অথচ সীমান্ত সমস্যা নিয়ে দু’দেশ অতীতে যে ২৪ বার বৈঠকে বসেছে, সেখানে এই দাবি কখনও তোলা হয়নি। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পরিবেশ মঞ্চেও (জিইএফ কাউন্সিল) ভুটান সীমান্তের ওই অভয়ারণ্য নিয়ে নিজেদের দাবি তুলে ধরে বেজিং। সেখানে বিশ্বব্যাঙ্কের তরফে আর্থিক সাহায্য নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। পরিবেশ মঞ্চে চিনের অবস্থানের বিরোধিতা করে ভুটান।
মঙ্গলবারও চিনের পক্ষ থেকে ওই অভয়ারণ্যের জন্য ফের দাবি তোলা হয়েছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ভুটান ও চিনের সীমান্তে বহু এলাকা এখনও স্পষ্ট ভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। চিন-ভুটান সীমান্তের মধ্য, পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের বেশ কিছু জায়গা নিয়ে বিতর্ক রয়ে গিয়েছে। আর এই সব সমস্যার সমাধানে একটি প্যাকেজের প্রস্তাব দিচ্ছে বেজিং।’’ চিন সরকারের মুখপাত্র আরও দাবি করেন, সীমান্ত নিয়ে বরাবরই স্পষ্ট অবস্থান নিয়ে এগিয়েছে তারা। তবে ভুটানের সঙ্গে জমি বিতর্ককে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে আগ্রহী নয় বেজিং। বরং নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধানে আগ্রহী।
লাদাখে সংঘাতের মধ্যেই আর এক প্রতিবেশী নেপাল তাদের মানচিত্রের মতো বিতর্কিত বিষয়কে সামনে এনে নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েনের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এর পিছনে চিনের ছায়া দেখছেন। কূটনীতিকেরা মনে করছেন, ভুটানের অভয়ারণ্য নিয়ে নতুন করে চিনের তরফে দাবি তোলার পিছনেও রয়েছে ভারতকে নিশানা করার চেষ্টা। কারণ, এই এলাকা থেকে ভারত একেবারেই দূরে নেই। ভুটান অবশ্য চিনের সেই দাবির কাছে মাথা নোয়ায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy