রাত পোহালেই বাঙালির প্রিয় ভ্যালেন্টাইন্স ডে,যা সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে চলে এসেছে স্কটল্যান্ডের এডিনবরাতেও
জানুয়ারি প্রায় শেষ।শীতের চাদরে মোড়া স্কটল্যান্ড এখন শ্বেতবসনা। হাল্কা ঠান্ডা বাতাস আর সোনালি রোদের ছটায় সে এক অপরূপ দৃশ্য। প্রাচীন সংস্কৃতিতে বর্ণিত বাগদেবী সরস্বতীর রূপের সঙ্গে স্কটল্যান্ডের এমন সৌন্দর্য কোথাও যেন মিলেমিশে একাকার!
রাত পোহালেই বাঙালির প্রিয় ভ্যালেন্টাইন্স ডে,যা সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে চলে এসেছে স্কটল্যান্ডের এডিনবরাতেও। স্কটিশঅ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলি আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স ‘সাবাশ’ আয়োজিত এই পুজো এবছর তিন বছরে পড়ল। প্রবাসী ভারতীয় বাঙালিরা এখন মেতেছে সরস্বতী পুজোর আনন্দে।তাঁদের সকলেই ব্যস্ত পুজোর আয়োজনে।
পুজোর সকালটা শুরু হবে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে। শেষ হবে মিউজিক্যাল চেয়ার, ম্যাজিক আরও বেশকিছু গেমসে। মাঝে আছে প্রসাদভোগ বিতরণের ব্যবস্থা, একসঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া এবং আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এখানকার সকলেই যেন একটা পরিবারের অংশ। পুজো প্রঙ্গনের ছবিটা যেন সেকথাই বলে। এডিনবরার সরস্বতী পুজোয় কচিকাঁচাদের ভিড় বেশচোখে পড়ার মতো। বাবা-মায়ের সঙ্গে সেদিন অনেকেই উপস্থিত থাকবে স্লেট-পেন্সিল, বই-খাতা হাতেনিয়ে সরস্বতীর সামনে হবে তাদের প্রথমহাতেখড়ি। পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণে, স্তবস্তুতিতে এডিনবরার ক্র্যামোন্ড ক্রিকের পুজো প্রাঙ্গন মোহিত হবে সরস্বতী বন্দনায়।
এডিনবরার সরস্বতী পুজো প্রাঙ্গনে বাঙালি সংস্কৃতিরআসর জমজমাট হবে রবীন্দ্রনাথের গান, আবৃতি,গীতিনাট্যে। এছাড়াও থাকছে বাচ্চাদের একাধিক অনুষ্ঠান— সুকুমার রায়ের ‘আবোলতাবোল’, রবিঠাকুরের ‘জুতা আবিষ্কার’— শিক্ষক ছাত্র সকলেই সেখানে অংশ নেবেন।
বিশ্বায়নের যুগে বাঙালি যতই ইংরেজি প্রিয় হোক না কেন,তাদের সেই ‘বারোমাসের তেরো পার্বন’ আজও আছে আগের মতো। সাবেকিয়ানা কিছুটা ফিকে হলেও বাঙালিয়ানা আছে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy