এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। ছবি: সংগৃহীত।
রুশ হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনকে এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন যুদ্ধবিমান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বেলজিয়াম। মঙ্গলবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি ও বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজ়ন্ডার ডি ক্রো এই মর্মে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি সই করেন।
ওই চুক্তি অনুযায়ী বেলজিয়াম ৩০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেবে ইউক্রেনকে। এর আগে গত বছর ইউরোপের অন্য দুই দেশ, নেদারল্যান্ডস ৪২টি এবং ডেনমার্ক ১৯টি এফ–১৬ সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউক্রেনকে। জ়েলেনস্কি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর কাছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান-সহ বিভিন্ন আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম চেয়েছিলেন। পাশাপাশি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছেও আধুনিক অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জামের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।
এর পরে মে মাসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দফতর রুশ হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। পাশাপাশি, ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর পাইলটদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করারও ঘোষণা করা হয়েছিল হোয়াইট হাউসের তরফে। এর পাশাপাশি, ইউক্রেনকে ৯০টি স্ট্রাইকার সাঁজোয়া গাড়ি (যার পোশাকি নাম ‘আর্মড পার্সোনেল ভেহিকল্’) দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার লকহিড মার্টিন সংস্থার তৈরি এই যুদ্ধবিমান নেটো জোটের সদস্য এবং তার সহযোগী দেশগুলি ব্যবহার করে। গত কয়েক মাস ধরে রুশ সেনার ধারাবাহিক অভিযানে ডনবাস (পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) এলাকায় কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ৬১টি এফ-১৬ পেলে ইউক্রেন বিমাবাহিনী যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা। এর আগে স্থলপথে রুশ ট্যাঙ্কবহরের অগ্রগতি রুখতে ইউক্রেনকে ‘লেপার্ড’ ট্যাঙ্ক দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে জার্মানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy