বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দাপ্রধান সাইফুল আলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়) উদ্ধার করেছে সে দেশের দুর্নীতি দমন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে হানা দেয় কমিশন। সেই অভিযানে সাইফুলের বাড়ি থেকে দু’কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে রবিবার জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান আক্তার হোসেন। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, আক্তার জানান, গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রাক্তন সেনাকর্তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে উদ্ধার হওয়া টাকা আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ২০২০ সালে সে দেশের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হন সাইফুল। এ ছা়ড়া বাংলাদেশ সেনার আরও অন্য দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। তবে গত বছরের ৫ অগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর পরই সেনায় বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়। সরাসরি সেনার নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদেও পাঠানো হয় কয়েক জন শীর্ষ স্তরের অফিসারকে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ সাইফুল আলমকে সেনা থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় বিদেশ দফতরে। পরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সাইফুলকে অকালে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। বাতিল করা হয় প্রাক্তন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দাপ্রধানের পাসপোর্টও।
আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পরই সাইফুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশের নতুন প্রশাসন। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে সম্পত্তি গড়ে তোলার অভিযোগ উঠে আসে। গত মাসে তাঁকে আটকও করা হয়েছিল। যদিও পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে তেমন কোনও তথ্য জানা যায়নি। এই অবস্থায় বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা উদ্ধার করল। এর আগে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ (বিএফআইইউ) সাইফুল, তাঁর পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করার নির্দেশ দিয়েছিল।