আফগান তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হায়বাতুল্লা আখুন্দজাদা এবং প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মহম্মদ হাসান আখুন্দের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটাতে পারে সংগঠনেরই একাংশ! মূলত নারীশিক্ষা এবং আর্থিক পদক্ষেপের ক্ষেত্রে এই দুই কট্টরপন্থী নেতার অবস্থানকে তালিবানের বড় অংশই মানতে চাইছে না বলে মঙ্গলবার আফগান সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত একটি খবরে দাবি করা হয়েছে।
আখুন্দজাদার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসাবে সামনে এসেছে আফগানিস্তানের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী (ফার্স্ট ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার) মোল্লা আব্দুল গনি বরাদরের নাম। ২০২১ সালের অগস্টে কাবুলের ক্ষমতার পালাবদলের সময় কাতারের রাজধানী দোহায় আমেরিকার সঙ্গে বৈঠকে তালিবান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। নিহত তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমরের ডান হাত বরাদরই দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলে সে সময় জল্পনা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মধ্যপন্থী বরাদরের বদলে কট্টরপন্থী আখুন্দকে বেছে নেন আখুন্দজাদা।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, একদা ওমরের উত্তরসূরি হিসেবেও তাঁর নাম আলোচনায় ছিল। কিন্তু ২০১০ সালে পাকিস্তানের করাচিতে গ্রেফতার হন বরাদর। ২০১৫-য় আমেরিকার বিমানহানায় ওমরের মৃত্যুর পর তালিবানের নেতা হন আখতার মনসুর। ২০১৬ সালে মনসুরও ড্রোন হামলায় মারা যান। এর পর আফগান তালিবানের নেতা হন আখুন্দজাদা। ওমররে ছেলে মহম্মদ ইয়াকুব বর্তমানে তালিবান সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রভাবশালী এই নেতার সমর্থন গোড়া থেকেই রয়েছে বরাদরের পিছনে।
আরও পড়ুন:
তালিবানের আর এক প্রভাবশালী নেতা তথা আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হক্কানির নানা প্রশ্নে মতভেদ রয়েছে ইয়াকুবের। কিন্তু তাঁরা দু’জনেই আখুন্দজাদার নারীশিক্ষা-বিরোধী নীতির সমালোচক। ইয়াকুব এবং সিরাজুদ্দিন মনে করেন মেয়েদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরজা বন্ধ করায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে এখনও তালিবান সরকার গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না। প্রকাশিত খবরে দাবি, তাঁদের এই অবস্থানের কথা আখুন্দজাদাকে পঋতক ভাবে জানিয়েছিলেন ইয়াকুব ও সিরাজুদ্দিন। কিন্তু তাতে ফল মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে তাই নেতা বদলের চেষ্টা শুরু করেছেন তাঁরা।