‘প্রেমিককে’ বিয়ের দাবিতে অনড় মালদহের তরুণী। —নিজস্ব চিত্র।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বার বার সহবাস করেছেন প্রেমিক। তাঁকে বিয়ে করতে বলে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠালেও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। উল্টে তাঁর বাড়ির লোকজন মেরে তাড়িয়ে দিয়েছেন। এই অভিযোগ তুলে ‘প্রেমিককে’ বিয়ের দাবিতে তাঁর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন এক তরুণী। বুধবার সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও ধর্না থেকে ওঠেননি তিনি। তাঁর বুঝিয়ে এলাকা থেকে সরাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রতুয়া থানার পুলিশকর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মালদহের রতুয়া থানা এলাকায় এক যুবকের বাড়িতে সামনে বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ ধর্নায় বসেন এক তরুণী। তাঁর বাড়ি মালদহের মানিকচক ব্লকে। তরুণীর দাবি, স্ত্রীর মর্যাদা পেতেই প্রেমিকের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসেছেন। খবর পেয়ে রতুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। তবে নিজের দাবিতে অন়ড় ওই তরুণী।
মানিকচকের ওই তরুণীর দাবি, বছরখানেক আগে একটি বিয়েবাড়িতে ওই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। সেই পরিচয় প্রেমে পরিণত হয়।। তাঁদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। প্রেমিকের হাত ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। হোটেলেও থেকেছেন। তাঁর পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে তাঁর বাড়িতেও আসতেন প্রেমিক। হোটেল এবং বাড়ি, দু’জায়গায় তাঁদের মধ্যে অন্তত ন’বার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। প্রেমিক তাঁকে বিয়ে করবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। এমনকি, বিয়ে করবেন বলে মঙ্গলবার তাঁকে নিজের বাড়িতে ডাকেন। কিন্তু, মঙ্গলবার ওই যুবকের বাড়িতে গেলে তাঁর দেখা পাননি। তরুণীর কথায়, ‘‘রতুয়ায় একটি বিয়েবাড়িতে আলাপ হয়েছিল। এক বছর ধরে আমাদের মধ্যে সম্পর্ক হয়েছিল। গত কাল আমাকে নিজের বাড়িতে ডেকেছিল। বিয়ে করার জন্যই এখানে এসেছিলাম। তাই গত কাল থেকে ওদের বাড়ির বাইরে বসেছিলাম। রাতে এক মাসির বাড়িতে থাকি। আজ ওদের বাড়িতে গেলে ওর মা-বোনেরা আমাকে মেরে তাড়িয়ে দেয়। এর ন্যায্য বিচার চাই।’’
ওই তরুণীর আরও দাবি, পরিবারের লোকজন প্রেমিককে কোথাও লুকিয়ে রেখেছেন। তাঁর দেখা না পেয়ে তিনি গ্রামেরই এক মাসির বাড়িতে রাত কাটান। বুধবার সকালে আবার প্রেমিকের বাড়িতে যান। কিন্তু তাঁর মা-বোনেরা তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। তাই প্রেমিকের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসেছেন তিনি। তাঁর কাছে নিজেদের সম্পর্কের একাধিক প্রমাণ রয়েছে। তিনি তাঁর ‘প্রেমিককে’ বিয়ে না করে কোথাও যাবেন না বলেও জানিয়েছেন।
ওই যুবকের মাসি বলেন, ‘‘ধর্নায় বসা যুবতী আসলে আমাদের আত্মীয়। তার বাড়ি মথুরাপুরে। সে আমার বোনের বাড়িতে গিয়ে মুখ ঢেকে বসে পড়ে। বোনের ছেলেকে বিয়ে করতে চায় সে। রাত হয়ে যাওয়ায় আমিই ওকে বাড়িতে নিয়ে আসি। রাতটা আমার বাড়িতেই কাটায় সে। এ দিনই সে বলে, তাদের মধ্যে নাকি প্রেমের সম্পর্ক। শারীরিক সম্পর্কও নাকি হয়েছে।’’ ওই আত্মীয়ার আরও দাবি, ‘‘আমার বোনের বাড়ির সামনে এমনিই বসে পড়েছে সে। বলেছিল, ‘আপনার বোনের ছেলেকে বিয়ে করব।’ মেয়েটির বাবা-দাদার ফোন নম্বর চাইলে তা দেয়নি। আমি ওকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে রাখলাম, খাবারও দিয়েছি। মেয়েটি সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা বলছে। আমার বোনের ছেলের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্কই নেই। তবে বিয়েবাড়িতে বসে ছেলেটির কিছু ছবি তুলছিল। আমরা কিছু বুঝতে পারিনি। সেই ছবিগুলি ওর কাছে থাকলেও থাকতে পারে।’’
তাঁর বোনের ছেলে এই মুহূর্তে ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ওই আত্মীয়। তাঁকে গোটা বিষয়টি বলা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনিও তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করেছে বলে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy