বিধানসভায় শায়িত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হাফিজ আলম সৈরানির দেহ। মঙ্গলবার দুপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হাফিজ আলম সৈরানির দেহ নিয়ে যাওয়া হল বিধানসভায়। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন অন্য বিধায়কেরাও। সোমবার প্রয়াত হন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সৈরানি। অসুস্থতার কারণে দু’সপ্তাহ আগে বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে হাফিজকে ভর্তি করানো হয়েছিল। তাঁর ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। রবিবার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা ২০২২ সালে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধানভবন থেকে সৈরানির দেহ বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হয়। কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ছিলেন সৈরানির ভ্রাতুষ্পুত্র তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক আলি ইমরান রামজ (ভিক্টর)। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই সৈরানির দেহ উত্তর দিনাজপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। বিকেলের দিকে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হতে পারে।
উত্তর দিনাজপুর জেলার নেতা হাফিজ দীর্ঘ দিন ফরওয়ার্ড ব্লকে ছিলেন। তাঁর দাদা রমজান আলি ছিলেন ওই জেলার গোয়ালপোখর কেন্দ্রের বিধায়ক। তিনি খুন হওয়ার পরে ১৯৯৪ সালে ওই আসনে উপনির্বাচনে জয়ী হন হাফিজ। ১৯৯৬ সালের বিধানসভা ভোটে জিতে মন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০০৬ পর্যন্ত ত্রাণ এবং সমবায় দফতর ছিল তাঁর হাতে। ২০০৬ সালে গোয়ালপোখরে কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সীর কাছে তিনি হেরে যান। পরবর্তী সময়ে ভিক্টর ওই আসনে ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন। ২০২২ সালে হাফিজ এবং ইমরান দু’জনেই ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে কংগ্রেস যোগ দেন। ২০২৩ সালে প্রদেশ কংগ্রেস সহ-সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল সৈরানিকে।
হাফিজের মৃত্যুতে শোকবার্তায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার লেখেন, ‘‘সংসদীয় রাজনীতির আঙিনায় এবং প্রগতিশীল কর্মধারার ক্ষেত্রে প্রয়াত হাফিজ আলম সৈরানির ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy