ফাইল চিত্র।
অতিমারি করোনার দাপটে ছাত্রছাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে ঘরে বন্দি থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। নিজেদের প্রিয় কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যাওয়া যাচ্ছে না। বন্ধু-সহপাঠীর বৃত্তে রসঘন আড্ডায় বা বিতর্কে শামিল হওয়া যাচ্ছে না। ফলে মনের মধ্যে তৈরি হচ্ছে নানা রকম আশঙ্কা। বাড়ছে মানসিক চাপ। কুরে কুরে খাচ্ছে হাজারো প্রশ্ন: কী করে হবে আগামী দিনের পড়াশোনা? পেশাগত জীবনে যোগ দেওয়া যাবে কী ভাবে? করোনা সব স্বপ্নকে নষ্ট করে দেবে না তো?
পড়ুয়াদের এই পরিব্যাপ্ত মানসিক সঙ্কটে বন্ধু হতে চাইছে ম্যাকাউট বা রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ওই প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য সৈকত মৈত্র এ বার অনলাইনে সরাসরি কথা বলবেন ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারবেন অভিভাবক এবং শিক্ষকেরাও। সুরাহা করতে পারবেন নিজেদের নানান প্রশ্ন ও সংশয়ের।
কাল, মঙ্গলবার সূচনা হবে এই অনুষ্ঠানের। উপাচার্য রবিবার বলেন, ‘‘এই শুরু হল। এর পরে বার বার এমন অনুষ্ঠান করতে চাইছি। পড়ুয়া, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা কথা বলতে পারবেন সরাসরি।’’ প্রাণঘাতী রোগের প্রাদুর্ভাবের এই আবহে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ম্যাকাউটেই প্রথম উপাচার্যের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার এমন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। করোনার আচমকা আঘাতে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত বহু পড়ুয়া। তাঁদের সব প্রশ্নের জবাব দেবেন উপাচার্য। ম্যাকাউটের অধীনে রয়েছে দুই শতাধিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। পড়ুয়া দু’লক্ষেরও বেশি। এ বার অন্তত ৪০ হাজার পড়ুয়া পাশ করে বেরোবেন।
এর আগে ম্যাকাউট তাদের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়তে ‘সমাধান’ নামে একটি হেল্পলাইন চালু করেছে। নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ করে পঠনপাঠন সংক্রান্ত তথ্য পাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। শুধু তা-ই নয়, যাঁরা যোগাযোগ করছেন এবং যে-সব উত্তর দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও পর্যালোচনার ব্যবস্থা করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এ বার উপাচার্যের কাছে সরাসরি পৌঁছে যাওয়ার বন্দোবস্তও হয়ে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy