হাওড়া বেলগাছিয়ায় পানীয় জলের পাইপের লাইন বসাতে গিয়ে বিপত্তির জেরে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার। সেই অস্বস্তি আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে আর্বজনার কারণে একের পর এক ধস। এই ঘটনার জেরে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন বেলগাছিয়ার বাসিন্দাদের একাংশ। জবরদখলকারী হলেও এই মুহূর্তে সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না। বরং তাঁদের পুর্নবাসন দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। মঙ্গলবার এক প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। যে হেতু হাওড়া পুরসভায় নির্বাচিত কোনও পুরবোর্ড নেই, তাই সেই দায়িত্ব ফিরহাদের দফতরেরই। যে কারণে মঙ্গলবার নিউ টাউনের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন মন্ত্রী।
পুর্নবাসন প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, “ভাগাড়ের পাশে যাঁদের বাড়ি রয়েছে, তাঁরা জবরদখল করে আছেন। ভাগাড়ের জমির উপরেই তাঁরা বসবাস করছেন। সেই জায়গায় কোনও সলিড মাটি নেই, বাউন্সি ল্যান্ড। তবুও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, গরিব মানুষদের পুনর্বাসন দিতে হবে। আমরা ভবিষ্যতে বাংলার বাড়ি তৈরির প্রকল্প নেব। তবে এখনই ওই জায়গায় পাকা বাড়ি করে দিলে আবার ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই অস্থায়ী ভাবে কাছাকাছি কী করা যায় সেই নিয়েই আজকে বৈঠক আছে।” তিনি আরও বলেন, “একটা কথা পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই, এই ১২-১৩ বছরে ভাগাড়গুলি হয়নি। ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জঞ্জালের পাহাড় জমেছে। সেই জঞ্জালের পাহাড় থেকেই ধস নামছে।”
আরও পড়ুন:
সোমবার হাওড়ার বেলগাছিয়ার ধসপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সেখানে যান পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। রাজনৈতিক নেতাদের এমন পরিদর্শন প্রসঙ্গে কটাক্ষের সুরে ফিরহাদ বলেন, “যাঁরা নাটক করতে যাচ্ছেন, তাঁদের বলি এখানে এবং আসানসোলে এ সব ১০০-২০০ বছরের সমস্যা। মুখ্যমন্ত্রী আদেশ দেওয়ার পরে আমরা বায়োমাইনিং স্টার্ট করেছি। তা করতে টাইম লাগবে। আমার কাছে ম্যাজিক স্টিক নেই যে আজ বলব আর কাল ভাগাড়গুলি ভ্যানিশ হয়ে যাবে। ৩-৪ বছর অন্তত সময় লাগবে। যেমন কলকাতার ধাপাতে হচ্ছে।”
সোমবার বেলগাছিয়া এলাকার মানুষের দুর্ভোগের জন্য বিরোধী দলনেতা দায়ী করেছিলেন ফিরহাদকে। সেই প্রসঙ্গে জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “যারা ভাগাড়ে চলে যায়, তারাই এই ধরনের মন্তব্য করে। কখনও হিন্দুত্ব নিয়ে লাফাচ্ছে, কখনও ভাগাড় নিয়ে লাফাচ্ছে । এখানে ধর্মীয় বিভাজন হবে না।”