—ফাইল চিত্র।
সঙ্গে থাকতে হবে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট অথবা প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ় নেওয়ার শংসাপত্র। তবেই হোটেলে ঘর ভাড়া মিলবে। সোমবার রথের দিন থেকেই নতুন এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকত পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। এতে পর্যটকেরা সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ। মাথায় হাত হোটেল ব্যবসায়ীদেরও। পরিস্থিতি দেখে দিঘাতেই পর্যটকদের করোনা পরীক্ষার দাবি উঠেছে।
সোমবার থেকে সৈকত প্রায় পর্যটকহীন। নদিয়ার রানাঘাট থেকে ৮ জনের একটি দল এসেছিল দিঘায়। দলের অন্যতম সদস্য সুব্রত বাঙাল বলছেন, ‘‘পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ় হয়ে গিয়েছে। তবে অনেকেরই শুধু প্রথম ডোজ় হয়েছে। মোবাইলে সেই তথ্য দেখিয়ে ঘর চেয়েছিলাম। কিন্তু হোটেল কর্তৃপক্ষ রাজি হননি।’’ ওল্ড দিঘার একটি হোটেলের ম্যানেজার অনিমেষ সামন্ত বলেন, ‘‘এ দিন সকাল থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের কারও কাছেই করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট কিংবা দ্বিতীয় ডোজ়ের শংসাপত্র ছিল না। সকলকেই ফিরিয়ে দিতে হয়েছে।’’
দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে সৈকত পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই দিঘাতেই পর্যটকদের জন্য করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র করার আবেদন জানাচ্ছি।’’ ওল্ড দিঘা ও নিউ দিঘায় পৃথক অ্যান্টিজেন পরীক্ষা কেন্দ্র হলে সুরাহা হবে বলে হোটেল ব্যবসায়ীদের মত। যাঁদের করোনা রিপোর্ট থাকবে না, তাঁরা যাতে স্থানীয় হাসপাতালে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করাতে পারেন, সেই প্রস্তাব পাঠাচ্ছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদও। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, ‘‘দিঘায় প্রশাসনিকভাবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা হচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy