শুক্রবারের মন্তব্য নিয়ে আক্ষেপ মুকুল রায়ের গলায়। ফাইল চিত্র
মুখ ফস্কেই তৃণমূলের জায়গায় বিজেপি-র জয়ের কথা বলে ফেলেছেন মুকুল রায়। শুক্রবার কৃষ্ণনগরে সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর বক্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে হইচই শুরু হতে এমনটাই বলেছিল মুকুল শিবির। শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে অবশ্য মুকুল বললেন, ‘‘যেটা হয়েছে, সেটা হওয়া উচিত হয়নি। একেবারেই ঠিক হয়নি।’’
বাবার বক্তব্য নিয়ে শনিবার সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন শুভ্রাংশু রায়ও। তিনি বলেন, ‘‘মায়ের চলে যাওয়ার ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি বাবা। তার প্রভাব পড়েছে ওঁর শরীরে।” তাঁর কথায়, “বাবর দেহে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্যে গোলমাল হচ্ছে। অনেক কথা মনে রাখতে পারছেন না। পুরনো অনেক ঘটনা তো বটেই, ভুলে যাচ্ছেন সাম্প্রতিক ঘটনাও। কখনও আবার পর ক্ষণে সম্বিতও ফিরে আসছে। ওঁর শরীর নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন আমরা। এমন পরিস্থিতিতে ওঁর কোনও মন্তব্যকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে না দেখাই উচিত।’’ মুকুল অবশ্য শরীর খারাপের কথা মানতে নারাজ। টেলিফোনে আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘শরীর আমার ঠিকই আছে। কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু যেটা হয়েছে সেটা হওয়া উচিত নয়।’’ গলা শুনেই বোঝা যাচ্ছিল, মুখ ফস্কে বলে ফেলার আত্মগ্লানি থেকে বেরোতে পারেননি এখনও।
শুক্রবার কৃষ্ণনগরে সংবাদমাধ্যমের সামনে তৃণমূল-বিজেপি-র ফারাক গুলিয়ে মুকুল বলে ফেলেন, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি, তৃণমূল পর্যুদস্ত হবে এবং এই কৃষ্ণনগরে স্বমহিমায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে বিজেপি। নিজের ক্ষমতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবে।’’ সেই সময় তাঁর পাশে যাঁরা ছিলেন তাঁরা একাধিক বার ভুল ধরিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও বিজেপি-র পক্ষ নিয়েই কথা বলেন মুকুল। যদিও কিছুটা পরে ভুল শুধরে নেন।
দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর বিজেপি-তে ছিলেন মুকুল। গত ১১ জুন ফিরেছেন তৃণমূলে। অনেক দিন বিজেপি-র হয়ে সওয়াল করার অভ্যাস থেকেই কি শুক্রবারের মন্তব্য? এমন প্রশ্নের উত্তরেও একই জবাব মুকুলের। বলেন, ‘‘সে সব বলব না। আমি শুধু বলব, যেটা হয়েছে সেটা হওয়া উচিত নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy