মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে খুন হওয়া বাবা-ছেলের বাড়িতে গেল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। রবিবার সকালে নিহত হরগোবিন্দ এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসের বাড়িতে পৌঁছে যান জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম এবং শমশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। তাঁরা বাড়ির বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে চেয়েছেন।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে অশান্তির আবহে গত ১২ এপ্রিল জাফরাবাদে খুন হন হরগোবিন্দ এবং চন্দন। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ঘোষণা করেছেন। তবে সেই সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছে মৃতের পরিবার। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তারা। নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলও। এর পরেই রবিবার সকালে তাঁদের সঙ্গে দেখা করল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিনিধিদলের সদস্যেরা খুনের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি বাড়ির সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্বও নিতে চেয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়কেরা। যে কোনও অসুবিধায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সঙ্গে সরকারের আর্থিক সাহায্য নিয়েও কথা হয়েছে বলে খবর।
পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর খলিলুর বলেন, “অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। স্থানীয়েরা বহিরাগতদের কথা জানিয়েছেন। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।”
জাফরাবাদে বাবা-ছেলে খুনে ইতিমধ্যেই চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে গ্রেফতার হয়েছেন ‘মূল চক্রী’ও। তাঁকে দক্ষিণ দিনাজপুরের চোপড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।