সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকারের শপথ-জটিলতা নিয়ে বিধানসভা চত্বরে ধর্না চলছে তৃণমূলের। দু’দিন বিরতির পর আবার তা শুরু হওয়ার কথা সোমবার। অন্য দিকে সোমবার বিজেপিও ধর্নার ডাক দিয়েছে কোচবিহারে দলীয় নেত্রীর উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে। ফলে দুই ধর্নার ‘সম্মুখসমরে’ সপ্তাহের প্রথম দিন সরগরম হতে পারে বিধানসভা। ছড়াতে পারে উত্তাপও।
বিধায়ক পদে শপথগ্রহণের দাবিতে গত সপ্তাহ থেকে অম্বেডকর মূর্তির নীচে ধর্না দিচ্ছেন বরাহনগরের বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা এবং ভগবানগোলায় জয়ী তৃণমূল প্রার্থী রায়াত। ধর্নায় যোগ দিচ্ছেন শাসকদলের মন্ত্রী-বিধায়কেরাও। সোমবার আবারও ধর্নায় বসবেন বলে জানিয়েছেন রায়াত, সায়ন্তিকা।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিয়েছেন, কোচবিহারে বিজেপির মহিলা নেত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে বিধানসভাতেই সোমবার ধর্নায় বসবেন বিজেপির মহিলা বিধায়কেরা। তবে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ বিজেপি বিধায়কদের ধর্নার অনুমতি দেননি বলেই সূত্রের খবর। বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে ধর্নায় বসতে চেয়ে বিধানসভার সচিব সুকুমার রায়ের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। বিধানসভা সূত্রে খবর, বিজেপি পরিষদীয় দলের সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন সচিব। তা সত্ত্বেও কোচবিহারের ঘটনার প্রতিবাদে ধর্না কর্মসূচি পালন করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর বিজেপি পরিষদীয় দলের মহিলা সদস্যেরা। বিধানসভার অন্দরে না-হলেও, বিধানসভার দক্ষিণ দরজার বাইরে তাঁরা ধর্নায় বসতে পারেন বলে বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর।
সায়ন্তিকা ও রেয়াতের ধর্নায় দলীয় বিধায়কদের অংশগ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল পরিষদীয় দল। সোমবার সেই ধর্নায় তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়কেরা অংশ নেবেন বলেই খবর। আর বিজেপির সব মহিলা বিধায়কও ধর্না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড়। তাই সোমবার ধর্না, পাল্টা ধর্না নিয়ে বিধানসভা চত্বর উত্তপ্ত হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল জানিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে তারা ধর্না শুরু করবেন। আর বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকাও জানিয়েছেন, তাঁরাও রাজ্যপালের কাছে দ্রুত শপথগ্রহণের দাবিতে ধর্না চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন:
গত বছর নভেম্বর মাসে ধর্না, পাল্টা ধর্নায় উত্তপ্ত হয়েছিল বিধানসভা চত্বর। সে বার কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল বিধায়কেরা অম্বেডকর মূর্তির নীচে ধর্না অবস্থান চালিয়েছিলেন। সেই সময় পাল্টা ধর্না দিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়কেরাও। উত্তেজনাও তৈরি হয়েছিল সেই সময়। সেই ঘটনার পর থেকেই বিধানসভায় ধর্না কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে অনুমতি বাধ্যতামূলক করেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।