বাঁ দিকে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় তাজিমুল ইসলাম, সোমবার ইসলামপুরে। ডান দিকে, ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োর মারের দৃশ্য। — নিজস্ব চিত্র।
চোপড়ার ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা তাজিমুল ইসলামকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত দিল আদালত। তাজিমুল ওরফে জেসিবিকে সোমবার দুপুরে ইসলামপুরের আদালতে পেশ করেছিল চোপড়া থানার পুলিশ। আদালতে তারা তাজিমুলের ১০ দিনের হেফাজত চায়। পরে ইসলামপুরের পুলিশ সুপার জবি থমাস কে জানান, তাজিমুলকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাঁচ দিন পরে আবার আদালতে তোলা হবে তাঁকে।
তাজিমুলের বিরুদ্ধে দু’টি জামিনঅযোগ্য এবং তিনটি জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় চোপড়া থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করার আগে এবং পরে স্বতঃপ্রণোদিত ওই মামলা গুলি দায়ের করা হয় চোপড়া থানার পুলিশের তরফে।
সোমবার আদালতে পেশ করানোর আগে নিয়মমাফিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় জেসিবির। স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর পরে এবং আদালতে যাওয়ার সময় সাংবাদিকেরা ঘিরে ধরে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতাকে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, কার নির্দেশে তিনি চোপড়ায় ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন? কেনই বা ওই যুগলকে মারধর করছিলেন? কিন্তু তাজিমুল কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি।
পুলিশ সূত্রে খবর, চোপড়ার ঘটনায় জেসিবির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির পাঁচটি ধারায় মামলা করা হয়েছে। রবিবার স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ওই মামলাগুলি দায়ের করে পুলিশ (সোমবার থেকে দেশে নতুন ফৌজদারি আইন চালু হয়েছে। কিন্তু রবিবার সেই আইন চালু না হওয়ায় ভারতীয় দণ্ডবিধি মেনেই দায়ের করা হয় মামলা)। পুলিশ সূত্রে খবর, জেসিবির বিরুদ্ধে, জামিন অযোগ্য ৩৫৪ ধারায় খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ৩০৭ ধারায় মহিলার শ্লীলতাহানি এবং তাঁর উপর বলপ্রয়োগের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এটিও জামিন অযোগ্য ধারা। যার সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছরের কারাদণ্ড। এ ছাড়া ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩২৫ এবং ৩৪ ধারাতেও মামলা হয়েছে জেসিবির বিরুদ্ধে।
(চোপড়ার ঘটনায় ধৃত তাজিমুলের নাম আমরা ‘তাজম্মুল’ লিখছিলাম। এফআইআরে তাঁর নাম ‘তাজিমুল’ বলে উল্লিখিত আছে। আমরা সেই নামই লিখছি)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy