Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
North Bengal Medical College and Hospital

‘হুমকি সংস্কৃতি’ নিয়ে পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক! অভিযুক্ত চিকিৎসকের চাকরি পাকা করার নির্দেশিকা জারি

পরীক্ষায় অনিয়ম, নম্বর বাড়ানো, প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ‘হুমকি সংস্কৃতিকে’ মদত দেওয়ার যে অভিযোগ, তা স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার দফতরে ও স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

Representative Image

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সৌমিত্র কুণ্ডু
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০৭
Share: Save:

‘হুমকি সংস্কৃতি’র (থ্রেট কালচার) বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের।

যে ‘সংস্কৃতিতে’ জড়িত থাকার অভিযোগে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে আরএমও নীলাব্জ ঘোষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, বৃহস্পতিবার জানা যায়, রাজ্যপালের দফতর থেকে গত ৯ সেপ্টেম্বর সেই চিকিৎসকের চাকরির নিশ্চয়তা (কনফারমেশন) জানিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, স্বাস্থ্য-শিক্ষা দফতরে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে নিউরো মেডিসিন বিভাগে যে পদে তিনি (আরএমও) ছিলেন, সেখানে তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অন্য দিকে, একই কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে যে হাউস স্টাফদের ৯ সেপ্টেম্বর হস্টেল ছাড়তে বলা হয়েছিল, তাঁদের অন্যতম ঋতুরম্ভ সরকারকে বুধবারেও কলেজ চত্বরে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ।

শাস্তিপ্রাপ্ত পাঁচ ডাক্তারি পড়ুয়া অবশ্য এ দিন কলেজ ছেড়েছেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, ‘‘নীলাব্জর নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নেব। তবে পড়ুয়া-সহ যাঁদের হস্টেল ছাড়তে বলা হয়েছিল, তাঁরা সবাই এ দিন হস্টেল ছেড়ে চলে গিয়েছেন।’’ ঋতুরম্ভ বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনেছি। কথা বলতে এসেছিলাম বুধবার। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’ বহু চেষ্টাতেও নীলাব্জর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

পরীক্ষায় অনিয়ম, নম্বর বাড়ানো, প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ‘হুমকি সংস্কৃতিকে’ মদত দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছিল, তা স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার দফতরে এবং স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ডিন অনুপমনাথ গুপ্ত জানিয়েছিলেন। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অরুণাভ সরকার, মানসিক রোগ বিভাগের প্রধান নির্মল বেরার কথায়, ‘‘স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে যে সব অভিযোগ পাঠানোর কথা, কলেজ কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে সে বিষয়ে কথা না হওয়ায়, চিন্তা থেকে যাচ্ছে।’’ আন্দোলনকারী ডাক্তার শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘‘হুমকি সংস্কৃতি উৎখাত করতে সব অভিযোগ স্বাস্থ্য-শিক্ষা দফতরে দ্রুত পৌঁছনো প্রয়োজন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE