নবান্ন। — ফাইল চিত্র।
সরকারি নিয়মনীতির দীর্ঘসূত্রিতা ছিলই। সঙ্গে ছিল নথিপত্র নিয়ে অনিশ্চয়তাও। তাই পারিবারিক বা ‘ফ্যামিলি পেনশন’ পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন নথি প্রয়োজন এবং প্রমাণপত্র নিয়ে কোথায় দরবার করতে হবে, তা জানতেই ঘুরে যেত বছর। শুক্রবার রাজ্যের অর্থ দফতর এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। অর্থ দফতরের প্রকাশিত ওই ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিয়োর’-এ স্পষ্ট করা হয়েছে, কোন নথি নিয়ে মৃত সরকারি কর্মচারীর স্ত্রী বা স্বামী অথবা অবিবাহিত কন্যাকে কোথায় দরবার করতে হবে। নবান্নের আশা, এর ফলে পারিবারিক পেনশন প্রাপকদের অনেকটাই সুরাহা হবে।
ওই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে বিয়ের শংসাপত্রের প্রতিলিপি বা তৎসংক্রান্ত কোনও নথি, আধার, ভোটার এবং প্যান কার্ডের প্রতিলিপি, পাসপোর্ট সাইজ়ের ছবি, মৃত সরকারির কর্মীর মৃত্যু সংক্রান্ত নথি বা ‘ডেথ সার্টিফিকেট’, পেনশন বই বা পিপিও-র কপি এবং পারিবারিক পেনশন দাবি করা ব্যক্তিই যে যথাযথ প্রাপক সে ব্যাপারে উপযুক্ত প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে। যে দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মী অবসর নিয়েছিলেন সেই দফতরেই ওই নথিপত্র জমা দিতে হবে। কোনও সরকারি কর্মীর অবিবাহিত কন্যা যদি পারিবারিক পেনশন দাবি করেন সে ক্ষেত্রে তাঁকে মুচলেকা দিতে হবে যে পরিবারের অন্য কেউ ওই পেনশন দাবি করবেন না। ওই নির্দেশিকায় সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও পেনশন প্রাপকের মৃত্যু হলে অর্থাৎ পেনশন চালু অবস্থায় থাকলে পারিবারিক পেনশনের সরকারি নিয়মনীতি দু থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে ফেলতে হবে। রাজ্যের ‘পেনশনার্স ওয়োলফেয়ার অ্যসোসিয়েশন’-এর সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী
বলেন, ‘‘কোথায় কী নথিপত্র জমা দিতে হবে তা জানতেই বছর কাবার হয়ে যেত। সরকার তা স্পষ্ট করায় মানুষকে আর ভুগতে হবে না বলে আশা করা যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy