গরমে হাঁসফাঁস দক্ষিণের সব জেলা। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে গরমের দাপট। সোমবার রাজ্যের সাত জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়িয়েছিল। মঙ্গলবার সেই সংখ্যাটা হল দ্বিগুণ। রাজ্যের ১৪টি জায়গায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়াল তাপমাত্রা। মঙ্গলবারেও রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়ল পানাগড়। সেখানে দুপুরের তাপমাত্রা ছিল ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতা সল্টলেক এবং দমদমে দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। পানাগড়, মগরা, মেদিনীপুরে চলেছে তাপপ্রবাহ। হাঁসফাঁস গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন।
মঙ্গলবার পানাগড়ে তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি। মগরা এবং মেদিনীপুরে তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪০ এবং ৪১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পিছিয়ে নেই বাঁকুড়াও। সেখানে মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলাইকুণ্ডায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে দিনের তাপমাত্রা ৪১, সিউড়িতে ৪১, পুরুলিয়ায় ৪০.৩, বর্ধমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার সল্টলেকে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪.৪ ডিগ্রি বেশি। দমদমে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুব পিছিয়ে নেই কলকাতা। সেখানে মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৩.৮ ডিগ্রি বেশি। গরমে রাস্তায় বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। বেলা বাড়তেই রাস্তা প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। যানবাহনও কমে যায়। ফলে স্কুল, কলেজ, অফিসে যাতায়াত করার সময় সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ।
তাপমাত্রার নিরিখে পিছিয়ে নেই উত্তরের জায়গাগুলিও। মালদহে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৩.৪ ডিগ্রি বেশি। জলপাইগুড়িতে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বালুরঘাটে ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩.৮ ডিগ্রি বেশি। তবে পাহাড়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকই রয়েছে। দার্জিলিঙে দিনের তাপমাত্রা ছিল ১৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। কালিম্পঙে দিনের তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস কোনও স্বস্তির বার্তা দেয়নি। তারা জানিয়েছে, আগামী তিন দিন দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে। সঙ্গে বজায় থাকবে অস্বস্তি। গরমের দাপট যেমন বাড়বে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিও সৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলাতে। সেই সতর্কতাও দিয়েছে হাওয়া অফিস। পাশাপাশি গরমে সুস্থ থাকার জন্য প্রচুর জলপানের পরামর্শ দিয়েছে তারা। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত প্রয়োজন না পড়লে বাড়ির বাইরে বেরোতে বারণ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy