Advertisement
২০ মে ২০২৪
Primary Recruitment Case

টেটের ৩৯২৯ শূন্যপদ নিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিতের নির্দেশে ‘না’, নতুন রায় সুপ্রিম কোর্টের

২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। তাতে ৩৯২৯টি পদ খালি রয়ে যায়। সেই পদগুলিতে নিয়োগ নিয়ে নতুন রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।

(বাঁ দিকে) সুপ্রিম কোর্ট। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) সুপ্রিম কোর্ট। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৪ ১৮:২২
Share: Save:

২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩৯২৯টি শূন্যপদ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সে বিষয়ে নতুন রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই শূন্যপদগুলিতে ভবিষ্যতের শূন্যপদ থেকে নিয়োগ হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ওই ৩৯২৯টি শূন্যপদ যোগ করে দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী নিয়োগ হবে। এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ নিয়ে এর আগে কলকাতা হাই কোর্ট অন্য নির্দেশ দিয়েছিল। তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পদগুলিতে মামলাকারীদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। হাই কোর্টের সেই নির্দেশকে মান্যতা দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১৬,৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু অভিযোগ, ওই শূন্যপদ পুরোটা পূরণ করা হয়নি। ৩৯২৯টি পদ খালি রয়েছে। এই মামলায় হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ নির্দেশ দিয়েছিলেন, মামলাকারীদের মেধার ভিত্তিতে ওই পদে নিয়োগ করা হবে।

কিন্তু ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণেরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন নিয়োগের জন্য নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। সেখানে শুধু ২০১৪ সাল নয়, ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদেরও সুযোগ দেওয়া উচিত। এই মামলায় হাই কোর্টের তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওই শূন্যপদগুলির দাবিদার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণেরাই। তাই ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণেরা সুযোগ পাবেন না।

সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এর পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণেরা। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে। আদালত জানিয়েছে, ভবিষ্যতের শূন্যপদের সঙ্গে ওই ৩৯২৯ পদটি যুক্ত করে দেওয়া হবে। সেখানে আবেদন করতে পারবেন টেট উত্তীর্ণরা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের এসএসসি ‘দুর্নীতি’ সংক্রান্ত মামলাও সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তাতে চাকরি যায় ২৫,৭৫৩ জনের। অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বেতনও ফেরত দিতে বলেছিল আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। আপাতত চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার মাঝে টেট মামলাতেও নতুন রায় দিল তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE